GBP/USD পেয়ারের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3342 লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা কিছুটা সীমিত হয়ে যায়। এই লেভেলের দ্বিতীয়বার টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করে, যার ফলে বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা নং 2 বাস্তবায়িত হয়। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য ৫০ পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পায়।
মার্কিন ডলার ক্রমাগতভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে দরপতনের শিকার হচ্ছে, এবং সামনের দিনগুলোতে এমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না যা এই প্রবণতার সমাপ্তি ঘটাতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রমে চলমান অচলাবস্থার থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশ বন্ধ রয়েছে, যার ফলে মার্কেটে এক ধরনের প্রতিবেদনগত শূন্যতা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে দেওয়া ডোভিশ বা নমনীয় আর্থিক নীতিমালার ইঙ্গিত, যেখানে অর্থনীতিকে সহায়তা করতে সুদের হার আরও কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে — ফলে মার্কিন ডলারের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত প্রতিকূল হয়ে উঠছে।
আজ সকালের দিকে মার্কেটে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে যুক্তরাজ্যের জিডিপি, শিল্প উৎপাদন এবং ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ফলাফল পাউন্ড এবং সামগ্রিক ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীরা ব্রিটিশ অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা নির্ধারণ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ধারণা পেতে এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ঘনিষ্ঠভাবে পর্যালোচনা করবে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাধারণত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে এবং পাউন্ডের দর বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। বিপরীতভাবে, জিডিপি হ্রাস পেলে তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে, যা ব্রিটিশ কারেন্সির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া মূলত নির্ভর করবে প্রকৃত ফলাফল এবং বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের মধ্যকার পার্থক্যের ওপর, কারণ ট্রেডাররা অনুমানবহির্ভূত যে কোনো ফলাফলকেই অপ্রত্যাশিত ভোলাটিলিটির উৎস হিসেবে ধরে নেয়।
শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের ফলাফল যুক্তরাজ্যের শিল্পখাতের পরিস্থিতি প্রতিফলিত করে। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তা শক্তিশালী অর্থনীতি নির্দেশ করে, যা প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন ও পরিষেবা প্রদানে সক্ষম। আর উৎপাদনে হ্রাস দেখা গেলে তা উৎপাদন খাত এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবের ইঙ্গিত দিতে পারে। মার্কেটে ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রভাব সীমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজকের দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা নং ১ এবং পরিকল্পনা নং ২ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3489-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3431-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3489-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3408-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3431 এবং 1.3489-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3408-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3371-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। পাউন্ডের বিক্রেতারা আজ সতর্কভাবে ট্রেড করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3431-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3408 এবং 1.3371-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।