মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:
GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

বৃহস্পতিবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারেরও অত্যন্ত সীমিত ভোলাটিলিটির সাথে ট্রেডিং করা হয়েছে, কারণ গতকাল কোনো ধরনের মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। সামগ্রিকভাবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মন্থর দরপতন অব্যাহত রয়েছে, যদিও এই দরপতনকে সমর্থন করার মতো কোনো সুস্পষ্ট কারণ নেই। এই সপ্তাহে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা কিছুটা হলেও পাউন্ডের দরপতনের পেছনে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে এই পেয়ার বিক্রির জন্য কোনো টেকনিক্যাল কারণ (যেহেতু নিম্নমুখী প্রবণতা বাতিল হয়ে গিয়েছে) বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না।
আজকের দিনের পরিস্থিতি কেমন হবে, সেটি এখনো অনিশ্চিত, কারণ সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। সুতরাং, মার্কেটের ট্রেডাররা বিভিন্ন প্রতিবেদনের ফলাফলের অনুযায়ী ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর ফলে, দিনের মধ্যেই এই পেয়ারের মূল্যের উভয় মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে ভোলাটিলিটির মাত্রা বাড়বে বলেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার মোট তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটির কারণে নতুন ট্রেডারদের জন্য সেগুলো খুব একটা লাভজনক ছিল না। প্রথমেই, এই পেয়ারের মূল্য 1.3329–1.3331 জোন থেকে দুইবার বাউন্স করেছিল, তবে সর্বোচ্চ মাত্র ১৫ পিপসের মতো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট হয়েছিল। একই কথা এই জোন থেকে গঠিত সেল সিগনালের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য—মূল্য খুব কষ্ট করে ১৫ পিপস নিম্নমুখী হতে সক্ষম হয়েছিল।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা সম্ভাব্যভাবে একটি নতুন বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনা নির্দেশ করতে পারে। তবে সপ্তাহজুড়ে এই পেয়ারের দরপতনই পরিলক্ষিত হয়েছে। পূর্বে যেমনটি বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন ডলারের ধারাবাহিকভাবে দর বৃদ্ধির জন্য কোনো দৃঢ় মৌলিক কারণ নেই। তাই মধ্যমেয়াদে আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টেরই প্রত্যাশা করছি। তবে বর্তমানে মার্কেটে ভোলাটিলিটির মাত্রা প্রায় শূন্যের পর্যাতে এসে পৌঁছেছে এবং এখনো পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না।
শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য সম্ভবত পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু করার চেষ্টা করতে পারে, তবে সেটি প্রকাশিতব্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। লং পজিশন ওপেন করতে হলে, এই পেয়ারের মূল্যের অবশ্যই 1.3329–1.3331 জোনটি ব্রেক করতে হবে। অন্যদিকে, নিচ থেকে এই জোনে বাউন্স করলে শর্ট পজিশনের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, যেখানে সম্ভাব্যভাবে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3259 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590, 1.3643-1.3652, 1.3682, এবং 1.3763।
শুক্রবারের ইভেন্ট ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই সপ্তাহের প্রথম উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হবে। সার্ভিস ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের বিজনেস অ্যাকটিভিটি ইনডেক্স বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রে এই সপ্তাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।