সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা:

সোমবার একটি মাত্র সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। আজ জার্মানিতে Ifo বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। বলা বাহুল্য যে এটি একটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, এবং গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক মৌলিক প্রভাবক কিংবা উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রায় উপেক্ষা করে চলেছে। ফলে, আজ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব অত্যন্ত দুর্বল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। এই সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) যেসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলোর প্রতিও ট্রেডারদের আগ্রহ খুবই কম। সব ট্রেডারদের কাছে এটি এখন স্পষ্ট যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল সুদের হার ০.২৫% কমাবে এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মুদ্রানীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না। তাই, সম্ভবত মার্কেটে এই দুটি বৈঠকের প্রভাব বেশ কম থাকবে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জেরোম পাওয়েল কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি পাওয়া যেতে পারে, তবুও এখনো এটি স্পষ্ট নয় যে শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদন ঠিক কবে প্রকাশিত হবে। আজ ক্রিস্টিন লাগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না।
উপসংহার:
সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, দুটি কারেন্সি পেয়ারের ক্ষেত্রেই আবারও খুব দুর্বল এবং এলোমেলো ট্রেডিং পরিলক্ষিত হতে পারে। ইউরোর জন্য একটি উপযুক্ত ট্রেডিং এরিয়া হলো 1.1655 থেকে 1.1666 রেঞ্জ, যেখানে লং এবং শর্ট — উভয় ধরনের পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ড বর্তমানে 1.3329–1.3331 রেঞ্জের কাছাকাছি ট্রেড করছে, যা একটি ট্রেডিং রেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে, অধিকাংশ ট্রেডিং সিগন্যালের ক্ষেত্রে বর্তমানে মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারছে না, কারণ মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা মাত্রা খুবই দুর্বল রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।