ব্রিটিশ পাউন্ডের ফরেক্স ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3128 লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই সীমিত হয়ে যায়। ঠিক এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি এবং এই পেয়ারের মূল্যের সম্পূর্ণ নিম্নমুখী মুভমেন্ট কাজে লাগাতে পারিনি। একইসাথে, 1.3096 লেভেল থেকে বাউন্স হওয়ার সময়েও আমি এই পেয়ার কেনার কোনো সুযোগ পাইনি।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের বক্তব্যে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান প্রতিফলিত হওয়ার পর ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন হয়। যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর মুদ্রানীতি কার্যকর হওয়ার প্রত্যাশা এবং যুক্তরাজ্যের বাজেট সংকট—এই দুটি কারণের সম্মিলনে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়ে উঠছে, এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ মুদ্রার ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা, যারা যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা এবং রাজনৈতিক জটিলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারা পাউন্ড থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে ডলারভিত্তিক আরও নিরাপদ ও লাভজনক অ্যাসেটে বিনিয়োগ করছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফল—যেমন প্রবৃদ্ধি হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতির উচ্চ হার—পাউন্ডের পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বাড়তি হতাশা যোগ করছে।
আজও এই পেয়ারের ওপর চাপ অব্যাহত থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের উৎপাদন খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল এই চাপ অব্যাহত থাকার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। এই সূচকের হ্রাস বা কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ার ইঙ্গিত প্রদানকারী কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশিত হলে তা ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের জন্য অতিরিক্ত কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
তবে, এটা মনে রাখা জরুরি যে বিনিয়োগকারীরা সবসময় যুক্তিযুক্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় না এবং অনেক সময় সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বাইরেও মার্কেটে নানা উপাদান প্রভাব বিস্তার করে। এমনও হতে পারে, প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল ইতোমধ্যেই আংশিকভাবে এই পেয়ারের "মূল্যে অন্তর্ভুক্ত" হয়ে গেছে, ফলে বাস্তবে কোনো বড় প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে। উপরন্তু, নতুন জাতীয় বাজেট গঠনে র্যাচেল রিভসের রাজনৈতিক অগ্রগতিও আজ প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
আমার দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং 2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।

বাই সিগন্যাল
- পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3182-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3158-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3182-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
- পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3138-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3158 এবং 1.3182-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
- পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3138-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3106-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ যেকোনো সময় পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
- পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3158-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3138 এবং 1.3106-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।

চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।