সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা:

মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, আর সোমবার প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোও মার্কেটে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি—প্রত্যাশিত মুভমেন্ট তো দূরের কথা। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই এখনো "নিম্ন লেভেল" অবস্থান করছে, কিন্তু কারেকশনভিত্তিক মুভমেন্টের কাঠামোর মধ্যেও মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা চোখে পড়ছে না। তাই আজ, যখন কার্যত কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনই প্রকাশিত হবে না, তখন শক্তিশালী প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম—যদি না ডোনাল্ড ট্রাম্প আরেকটি "তথ্যবোমা" মারেন।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

মঙ্গলবার কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলো নিয়ে মার্কেটে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সকালে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে দুটি বক্তব্য দেবেন; তবে ইসিবি মাত্র গত সপ্তাহেই একটি বৈঠক করেছে, এবং সে বৈঠকের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যেই মার্কেটে সরবরাহ করা হয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে লাগার্ডে ঠিক কী নতুন তথ্য দিতে পারেন? সর্বশেষ মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ইসিবির মুদ্রানীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি, কারণ মুদ্রাস্ফীতির হার এখনো 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার আশপাশেই রয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রার আশেপাশে মুদ্রাস্ফীতির ওঠানামার বাস্তবে প্রায় কোনো গুরুত্ব নেই। ইসিবি ইতোমধ্যেই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, নিকট ভবিষ্যতে মূল সুদের হার বাড়ানোর বা কমানোর কোনো বৈধ ভিত্তি তাদের হাতে নেই।
উপসংহার:
এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারও এলোমেলো ও কম অস্থিরতার সাথে ট্রেডিং হতে পারে। 1.1527 লেভেলের কাছাকাছি ইউরোর নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়তে পারে, তবে সোমবারের মতোই অস্থিরতা কম থাকার কারণে সেসব সিগন্যাল থেকেও প্রকৃত লাভের কোনো সম্ভাবনা দেখা নাও যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে তৃতীয় বা চতুর্থবারের মতো বাউন্স করে উঠতে পারে, যার ভিত্তিতে মূল্যের 1.3203-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
 - ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
 - ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
 - ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
 - MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
 - নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
 - স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
 
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
 - লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
 - MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
 
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।