সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা:

বুধবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, গত এক মাস ধরে ট্রেডাররা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এবং ইভেন্ট উপেক্ষা করেছে। এর একটি অন্যতম উদাহরণ হল সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ ISM উৎপাদন সূচক, যেটির ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ছিল, তবুও আমরা ডলারের কোনো দরপতন দেখতে পাইনি। আজ পরিষেবা খাতের ADP এবং ISM প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও একই রকম পরিস্থিতি দেখা পারে, যা বুধবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে, অক্টোবর মাসের পরিষেবা খাতের কার্যকলাপ সংক্রান্ত সূচকের দ্বিতীয় মূল্যায়নে প্রকাশিত হবে, তবে এগুলো একেবারেই স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

বুধবার একটি মাত্র ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত আছে। শুধুমাত্র ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সারাহ ব্রিডেনই বক্তব্য রাখবেন, এবং এর বাইরে আর কিছি। তবে, কারেন্সি মার্কেটের (এবং এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটেও) সাম্প্রতিক মুভমেন্ট মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির সাথে ভালোভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বর্তমানে ট্রেডারদের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
উপসংহার:
এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, দিনের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। গতকাল 1.1474-এর কাছাকাছি ইউরোর একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তাই আজ এটির মূল্য 1.1527-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে, 1.2980-1.2993 এর এরিয়া অথবা 1.3043-এর কাছাকাছি নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।