USD/JPY পেয়ারের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 156.09-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ডলার ক্রয় করিনি এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্যের একটি কার্যকর ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট কাজে লাগাতে পারিনি।
অক্টোবর মাসের ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (FOMC) বৈঠকের বিবরণ প্রকাশের পর জাপানি ইয়েনের দর মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে আসে। ট্রেডাররা এতে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেখতে পেয়েছেন যে ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরের শেষ দিকে সুদের হারের হ্রাসের পদক্ষেপ স্থগিত করতে পারে, যার ফলে ডলারের দর আরও বৃদ্ধি পায়। USD/JPY পেয়ারের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে, ব্যাংক অফ জাপানের বোর্ড সদস্য জুনকো কোয়েডা ডিসেম্বর মাসের বৈঠকে সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন এবং মুদ্রানীতির স্বাভাবিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, তবুও এই বার্তায় ইয়েনের দর তেমনভাবে প্রভাবিত হয়নি।
মার্কেটের ট্রেডাররা এই স্পষ্ট বার্তাটি উপেক্ষা করে বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেয়া অব্যাহত রাখে, বিশেষ করে ফেডের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত প্রত্যাশার দিকে। এটি স্পষ্ট যে, ইয়েনের মূল্য দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধির জন্য, ব্যাংক অফ জাপান (BoJ) থেকে আরও স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে আর্থিক নীতিমালা স্বাভাবিকীকরণের প্রস্তুতির প্রমাণ প্রয়োজন, সেই সঙ্গে মার্কিন ডলারের দরপতন হওয়াও প্রয়োজন, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। তবে কোয়েডার মন্তব্য ব্যাংক অফ জাপানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের কথাই তুলে ধরে। জাপানে মুদ্রাস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে, এবং ইয়েন দুর্বল হয়ে পড়ায় আমদানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবার ও ব্যবসায়িক খাতের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে। মূল প্রশ্ন হলো, ব্যাংক অফ জাপান কবে এবং কী গতিতে সুদের হার বাড়ানো শুরু করবে, যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। ডিসেম্বরের আসন্ন বৈঠক হবে ব্যাংক অব জাপানের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই বৈঠকে বাস্তবেই সুদের হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ইয়েনের দর হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ইয়েনভিত্তিক অ্যাসেটগুলোর পুনর্মূল্যায়ন শুরু হতে পারে। অন্যথায়, মার্কেটের ট্রেডাররা ইয়েন ক্রয় করতে অনিচ্ছা প্রদর্শন করবে এবং ব্যাংক অব জাপানের মৌখিক হস্তক্ষেপকে উপেক্ষা করেই চলবে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।

বাই সিগন্যাল
- পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 158.36-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 157.76-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 158.36-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
- পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 157.24-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 157.76 এবং 158.36-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
- পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য শুধুমাত্র 157.24-এর (চার্টে হালকা লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 156.70-এর লেভেল (গাঢ় লাল লাইন), যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
- পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 157.76-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 157.24 এবং 156.70-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।

চার্টে কী কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।