ব্রিটিশ পাউন্ডের ফরেক্স ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি শূন্যের অনেক নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3087 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণে, আমি পাউন্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত নেইনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলারের কিছুটা দরপতন হয়। ট্রেডাররা অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের অবস্থান করে এবং এই পেয়ারের মূল্য একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলের মধ্যেই অবস্থান করে। তবে এখন ট্রেডাররা যুক্তরাজ্যের নতুন বাজেটের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে, যা আগামীকাল উপস্থাপন করা হবে। এই ইভেন্টকে ঘিরে প্রত্যাশা এতটাই বেশি যে, আজ পাউন্ডের বড় ধরনের মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আগামীকাল প্রকাশিতব্য বাজেট প্রতিবেদনে আগামী কয়েক মাসের জন্য ব্রিটিশ অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা যেমন—অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস এবং ব্যবসায়িক খাতে সহযোগিতা—মার্কেটের ট্রেডাররা সেগুলোর দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেবে। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে—জ্বালানি সংকট মোকাবেলা এবং সাধারণ ভোক্তাদের জন্য সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপ। নতুন বাজেটকে ঘিরে চলমান অনিশ্চয়তা ব্রিটিশ পাউন্ডের উপর আরও বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
আজ দিনের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (CBI) থেকে খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল ভোক্তা আস্থার সূচক এবং ব্রিটেনের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে উপস্থাপিত তথ্যের বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যাবে যে, খুচরা প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে মুদ্রাস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মোকাবেলা করছে।
CBI তাদের সদস্যভুক্ত খুচরা ব্যবসাগুলোর উপর ভিত্তি করে নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে এই খাতের বর্তমান প্রবণতা ও ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। খুচরা বিক্রয় সূচক ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও ক্রয়ের আগ্রহ পরিমাপের একটি কার্যকর সূচক হিসেবে কাজ করে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হারের মধ্যে এই সূচক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই সূচকের দুর্বল ফলাফল ব্রিটিশ পাউন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, আর শক্তিশালী ফলাফলও পূর্বে উল্লিখিত কারণগুলোর জন্য GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করবে না বলেই মনে হয়।
দৈনিক কৌশল অনুযায়ী, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর বেশি নির্ভর করব।

বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3149-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3113-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3149-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র একটি চ্যানেলের মধ্যে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3092-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3113 এবং 1.3149-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3092-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3050-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3113-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3092 এবং 1.3050-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।

চার্টে কী কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।