সোমবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

শুক্রবার বা সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হয়েছিল, তবে ট্রেডাররা মূলত মার্কিন ISM সূচকের উপর মনোযোগ দিয়েছিল। এই সূচকটির ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে দুর্বল ছিল এবং আগের মাসের তুলনায়ও দুর্বল ছিল, তবুও এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরেও, ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত ইতোমধ্যেই উল্লিখিত প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যে নির্ধারণ করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটের কিছু প্রধান ট্রেডারদের কাছে অভ্যন্তরীণভাবে প্রতিবেদনের ফলাফল জানার সক্ষমতার বিপরীতে সাধারণ ট্রেডারদের খুব কম ক্ষমতা রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য তিন দিন ধরে স্থির রয়েছে, আরেকটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে আটকে আছে। এবার, সাইডওয়েজ চ্যানেলটি 1.3203 এবং 1.3270 লেভেল দ্বারা চিহ্নিত করা যেতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও বিদ্যমান, তবে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য খুব অনিচ্ছার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অস্থিরতার মাত্রাও কম রয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, গতকাল একটি সুনির্দিষ্ট ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.3203-1.3211 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল, যা এখন নতুন সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্ন সীমানা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। পরবর্তীতে এই পেয়ারের মূল্য 1.3259-এ পৌঁছেছিল এবং এমনকি তা অতিক্রম করেও যায়। যাইহোক, প্রায় এক ঘন্টা পরে, একই লেভেলের কাছাকাছি একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল এবং দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3203-1.3211-এর এরিয়ায় ফিরে এসেছিল। ফলে, নতুন ট্রেডাররা দুটি পজিশন ওপেন করতে পারতেন, প্রতিটি পজিশন থেকে প্রায় ৩০-৩৫ পিপ লাভ করা যেত।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:
প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, স্থানীয়ভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হতে শুরু করেছে, কিন্তু দ্রুত এই পেয়ারের মূল্য অন্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে স্থবির হয়ে পড়েছে। যেমনটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো বৈশ্বিক মৌলিক বিষয় ডলারের দীর্ঘায়িত মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে সমর্থন করছে না, তাই আমরা মধ্যমেয়াদে কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি। দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশন/ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট এখনও নাও শেষ হতে পারে, তবে প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে পরিলক্ষিত যেকোনো স্থানীয় প্রবণতা বিশ্বব্যাপী একই প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3203-1.3211 এরিয়ায় নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠনের আশা করতে পারেন, যা এখন ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে দৃশ্যমান ফ্ল্যাট রেঞ্জের নিম্ন সীমানা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। এই এরিয়া থেকে একটি বাউন্স হলে মূল্যের 1.3259-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। এই এরিয়ায় নিচে কনসলিডেশন হলে মূল্যের 1.3096-1.3107-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বর্তমানে বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। মঙ্গলবার, মাত্র দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, দুটিই ইউরোজোনে প্রকাশ করা হবে। নভেম্বরের বেকারত্বের হারের সাথে মুদ্রাস্ফীতির প্রথম অনুমান (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ) প্রকাশিত হবে। আমরা ইতোমধ্যেই লক্ষ্য করেছি যে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার ট্রেডারদের মনোভাবের উপর খুব কম প্রভাব ফেলছে, তবে এখনও এটি ট্রেডারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।