সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা:

বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত নয়। যুক্তরাজ্যে নির্মাণ খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক বেকারভাতা আবেদনের পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। আমরা মনে করি, এমনকি নতুন ট্রেডাররাও বুঝতে পারছেন যে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের মার্কেটে খুব একটা শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার সম্ভাবনা নেই। এই সপ্তাহে ইতোমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ও পরিষেবা খাতভিত্তিক ISM ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচকগুলোর ফলাফল মিশ্র গতিশীলতার ইঙ্গিত দিয়েছে, অন্যদিকে নভেম্বর মাসে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ADP প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ছিল। অতএব, সম্ভাবনা রয়েছে যে, ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালে তৃতীয়বারের মতো মূল সুদের হার কমাবে। এটি মার্কিন ডলারের দরপতনের আরেকটি কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

বৃহস্পতিবার কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত থাকলেও, এগুলোর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। হ্যাঁ, লুইস দে গুইন্ডোস এবং ফিলিপ লেনের বক্তব্য কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে, কিন্তু মনে রাখতে হবে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে বর্তমানে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নেই, যা মার্কেটের ট্রেডারদের উদ্বিগ্ন করতে পারে। ইসিবি ইতোমধ্যেই নীতিমালা নমনীয়করণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, এবং ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও, এটি ইসিবিকে মূল সুদের হার পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে—এমন সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। ফেডের প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে, বর্তমানে তাঁরা "নীরব থাকছেন"। কারণ, ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী বৈঠক আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে, তাই এখন আর্থিক নীতিমালা নিয়ে ফেডের কোনো কর্মকর্তাই মন্তব্য করতে পারবেন না।
উপসংহার:
সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, দুটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ দুই ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। ইউরোর জন্য 1.1655-1.1666 একটি চমৎকার ট্রেডিং এরিয়া, অন্যদিকে ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং জোন হচ্ছে 1.3329-1.3331। যেহেতু আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, সেহেতু বৃহস্পতিবারে অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।