সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা:

বৃহস্পতিবার খুব অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মূলত, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক বেকার ভাতার আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা সরাসরি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত। মনে রাখতে হবে, এই সপ্তাহেই ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং JOLTS কর্মসংস্থানের শূন্যপদের সংখ্যা সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রতিবেদনগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও, মার্কেটের ট্রেডাররা এগুলোর প্রতি খুব দুর্বলভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, কারণ ট্রেডাররা এখনো অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর জন্য অপেক্ষা করছে , যেমন—নন-ফার্ম পে-রোলস, বেকারত্বের হার এবং ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI)—যেগুলো আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

বৃহস্পতিবার তেমন কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবুও, সপ্তাহের শেষদিকের ট্রেডিংয়ে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য কোনো কিছুর অনুঘটকের অভাব নেই। গতরাতেই ফেডের বছরের সর্বশেষ বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। টানা তৃতীয়বারের মতো মূল সুদের হার ০.২৫% কমানো হয়েছে, এবং ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা অনুযায়ী (ডট প্লট অনুসারে) আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয়করণের সম্ভাবনা আপাতত নেউ। জেরোম পাওয়েল ঘোষণা দিয়েছেন, মুদ্রানীতির নমনীয়করণ তখনই আবার শুরু হবে, যখন মুদ্রাস্ফীতি সূচক দৃঢ়ভাবে ২%-এর লক্ষমাত্রার দিকে আসতে শুরু করবে। অতএব, ফেডের বৈঠকের ফলাফল আংশিকভাবে হলেও মার্কিন ডলারের জন্য সহায়ক হিসেবে ধরা যেতে পারে। তবে, গত কয়েক মাসে কোনো স্পষ্ট মৌলিক কারণ ছাড়াই মার্কিন ডলারের মূল্য অনেক বেশি এবং অনেকদিন ধরে বেড়েই চলেছে। এখন মনে হচ্ছে, ডলারের সেই 'সৌভাগ্যের দিনগুলো' শেষ হতে চলেছে।
উপসংহার:
চলতি সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ের, দুইটি কারেন্সি পেয়ারেরই মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ উভয় পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ইউরোর মূল্যের 1.1745 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে, আর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3413। তবে বৃহস্পতিবার মার্কেটে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট না থাকায় অস্থিরতার মাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।