সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রে ADP প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে—এই প্রতিবেদনটিকে নন-ফার্ম পে-রোলসের সমতুল্য হিসেবে ধরা হয়। নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা প্রয়োজন যে, ADP এবং নন-ফার্ম পে-রোল সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাধারণত পরিসংখ্যান বা প্রবণতার দিক থেকে মেলে না। প্রায় একই ধরনের পরিসংখ্যান প্রতিফলিত করলেও, এই দুই প্রতিবেদন একেবারে বিপরীত ফলাফল দেখাতে পারে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়টি ভালোভাবে জানে এবং তারা নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের আরও একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে, যিনি গত দেড় সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য রাখছেন, এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনের একটি ভাষণও অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগের মতোই, আমরা ইসিবির প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি প্রত্যাশা করছি না। মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যার সমাপ্তি বা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। নিকট ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ছাড়া)। চীনের সাথে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে, সেটিকে এখনও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ এটি আসলে কেমন ধরনের চুক্তি—তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে, তবে তারা এমন কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে, যেগুলো ট্রাম্প খুব সহজেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের বিষয়টিও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, যা ভবিষ্যতে চরম আকার ধারণ করতে পারে। এই ধরনের সকল ঘটনা স্পষ্টভাবেই মার্কেটে ডলার কেনার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং, উভয় কারেন্সি পেয়ার—EUR/USD এবং GBP/USD—মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য এখনও চলমান, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন যেগুলোর ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করা কঠিন। নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিতে পারেন, কারণ কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, বাণিজ্য চুক্তি মানেই যে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করবে—তা নয়।
Read more: https://ifxpr.com/40mFw9V