প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ট্রেডারদের জন্য ডেইলী টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস- ২০২৫

back
Trader Journals:::2025-11-13T08:37:12

ট্রেডারদের জন্য ডেইলী টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস- ২০২৫

AUD/USD – অস্ট্রেলিয়ান ডলার আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে: শ্রমবাজার প্রতিবেদন 'অজি মুদ্রাকে' বাড়তি সহায়তা দিতে পারে

ট্রেডারদের জন্য ডেইলী টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস- ২০২৫


স্বল্পমেয়াদে 0.6520 লেভেলে নেমে আসার পর, অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্য আবারও 66 ফিগারের কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এই কারেকটিভ পুলব্যাকটি মার্কিন ডলার সূচকের সামগ্রিক শক্তিশালী বৃদ্ধির ফলে হয়েছে, যা মূলত ফেডারেল রিজার্ভের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় ঘটেছে। ওই বৈঠকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে, তবে শাটডাউন চলমান থাকার কারণে ডিসেম্বরে আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয় করার সম্ভাবনা নিয়ে ফেড সংশয় প্রকাশ করেছে। অক্টোবরের বৈঠকের আগে ডিসেম্বরে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে ৯৫% হিসেবে ধরা হয়েছিল, তাই ফেডের এই সতর্কবার্তাগুলো ডলারের জন্য ইতিবাচক বলে বিবেচিত হয়। তবে পরবর্তী সময়ে ফেডের কর্মকর্তাদের মন্তব্য এবং (বিশেষত) সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ডলারের ক্রেতাদের আশাবাদে কিছুটা পানি ঢেলে দিয়েছে। ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচকের ফলাফল নেতিবাচক ছিল, ADP থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতে মাত্র ৪০,০০০ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, এবং নিয়োগ এজেন্সিগুলোর প্রতিবেদন শ্রমবাজারের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। এমনকি ISM সার্ভিস সূচকের ফলাফল ইতিবাচক হলেও এবং সূচকটি আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছালেও, পরিষেবা খাতের কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে—অক্টোবরে যেটির ফলাফল ছিল মাত্র 48.2। এই প্রতিবেদনগুলোর হতাশাজনক ফলাফলের প্রেক্ষিতে, ফেডের অনেক কর্মকর্তাই তাদের বক্তব্যে নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং শ্রমবাজারের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন স্টিফেন মিরান, ক্রিস্টোফার ওয়ালার, মাইকেল বার, মিশেল বোয়ম্যান এবং মেরি ডালি। তাঁরা সবাই কর্মসংস্থানের অবনতির বিষয়টি নিয়ে জোর দিয়েছেন, যদিও মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকিও তুলে ধরেছেন। মিরান ও ওয়ালার প্রকাশ্যেই ডিসেম্বরে আরও সুদের হার কমানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অর্থাৎ, সামগ্রিক মৌলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়েছে—এবং তা ডলারের জন্য অনুকূল নয়। এর ফলে AUD/USD পেয়ারের মূল্য পূর্বের গতিপথ বদলে এখন আবার 66 ফিগারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দর বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (RBA)-র সরব "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ। অক্টোবরে অনুষ্ঠিত রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার বৈঠকের পর, দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মিশেল বুলক সতর্ক অবস্থানে থেকে ডিসেম্বরে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে প্রকাশিত কার্যবিবরণীতেও মাঝারি মাত্রা "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছে, কারণ তৃতীয় প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ায় মুদ্রাস্ফীতির গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোর CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক প্রান্তিক ভিত্তিতে 1.0% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বার্ষিক ভিত্তিতে ৩.০% বৃদ্ধি পেয়েছে। সূচকটির দুটি উপাদানই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার বৈঠকের ফলাফল প্রকাশের পর অনেক বিশ্লেষক ধারণা করছেন যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্তত ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুদের হার কমাবে না—যখন চতুর্থ প্রান্তিকে অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, যদি শ্রমবাজার পরিস্থিতির দুর্বল হওয়ার সংকেত পাওয়া যায়, তাহলে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার হকিশ বা কঠোর অবস্থান কিছুটা নমনীয় হতে পারে। তাই আসন্ন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিকেই AUD/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বাড়াতে সক্ষম। 'অস্ট্রেলিয়ার নন-ফার্ম' পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল যদি নেতিবাচক হয় তবে তা ক্রেতাদের বা বিক্রেতাদের জন্য যথেষ্ট কার্যকর হতে পারে। প্রাথমিক পূর্বাভাস 'অজি মুদ্রার' পক্ষেই রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অক্টোবরে দেশটির বেকারত্বের হার সামান্য কমে 4.4% হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে গত মাসে তা বহু মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ 4.5%-এ পৌঁছেছিল। অংশগ্রহণের হারও গত মাসের 67.0% থেকে বেড়ে 67.1% হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সংখ্যা +20,000 হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে সেপ্টেম্বরে এটি ছিল 14,000। যদিও এটিকে শক্তিশালী ফলাফল বলে গণ্য করা যায় না, তবুও এটি কোনোভাবেই নেতিবাচক নয়, বিশেষ করে আগস্টে যখন নিয়োগের সংখ্যা 5.4 হাজার হ্রাস পেয়েছে। এখানে পূর্ণকালীন বনাম খন্ডকালীন নিয়োগের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, সেপ্টেম্বরে পূর্ণকালীন কর্মসংস্থানের সংখ্যা 8,700 বেড়েছে এবং খন্ডকালীন কর্মসংস্থানের সংখ্যা 6,300 বেড়েছে। এই তথ্যটি অস্ট্রেলিয়ান ডলারকে অতিরিক্ত সহায়তা দিয়েছে, কারণ পূর্ণকালীন চাকরি সাধারণত উচ্চ বেতন এবং আরও বেশি সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে, যা মজুরি বৃদ্ধির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সুতরাং, আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল যদি পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয় (বৃদ্ধি কথা না বিবেচনা করা হলেও), তাহলে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দর মার্কিন ডলারের বিপরীতেও বৃদ্ধি পাবে। আমার মতে, এখনও AUD/USD পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বজায় রয়েছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ অনুযায়ী, AUD/USD পেয়ারের মূল্য চার ঘণ্টার চার্টে ইচিমোকু ক্লাউডের ওপরের সীমানা অতিক্রম করেছে এবং এখন ইচিমোকু সূচকের সব লাইন এবং বলিঙ্গার ব্যান্ডের মিড ও আপার লাইনের মাঝে রয়েছে, যা লং পজিশন ওপেন করারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হলো 0.6560 (চার ঘণ্টার টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের আপার লাইন)। মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 0.6600 (D1 টাইমফ্রেমে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানা, যা বলিঙ্গার ব্যান্ডের আপার লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ)।
Read more: https://ifxpr.com/4p6kHJB
photo
Forum user
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
back
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...