![]()
অ্যাপলের বহু প্রতীক্ষিত ভাঁজ করা বা ‘ফোল্ডএবল’ আইফোন আগামী বছর বাজারে আসছে। তবে বাজারে আসার আগেই স্যামসাংয়ের কাছে বড় প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে আইফোনটি। অ্যাপলের এ ফোনের সঙ্গে টেক্কা দিতে স্যামসাং আনছে ‘ওয়াইড ফোল্ড’। কোরিয়ার ইটি নিউজ প্রতিবেদনে লিখেছে, এ ফোনটিও ২০২৬ সালে বাজারে আনবে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক কোম্পানিটি। ফোনটির স্ক্রিনের আকার ও অনুপাতের রেশিও চার বাই তিন হতে পারে, যা অনেকটা অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডএবল ফোনের মতো। স্যামসাংয়ের এ ‘ওয়াইড ফোল্ড’ ফোনে ওলেড ডিসপ্লে থাকতে পারে, যা ভাঁজ করা অবস্থায় পাঁচ দশমিক চার ইঞ্চি ও পুরোপুরি খুললে সাত দশমিক ছয় ইঞ্চি হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাতে ইটি নিউজ প্রতিবেদনে লিখেছে, “ফোনটি দেখতে অনেকটা পাসপোর্টের মতো হবে ও খোলার পর এর স্ক্রিন রেশিও হবে চার বাই তিন”। গত সপ্তাহে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ইনফরমেশন প্রতিবেদনে লিখেছিল, অ্যাপলের আসন্ন ফোল্ডএবল ফোনে পাঁচ দশমিক তিন ইঞ্চির ডিসপ্লে থাকবে, যা খুললে সাত দশমিক সাত ইঞ্চি হবে। এর স্ক্রিন রেশিও হবে অ্যাপলের সবচেয়ে বড় আইপ্যাডের মতো, অর্থাৎ দৈর্ঘ্যের চেয়ে চওড়ায় বেশি হবে। বেশিরভাগ আইপ্যাডের স্ক্রিন রেশিও চার বাই তিনের কাছাকাছি থাকে। এসবই অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডএবল আইফোন সম্পর্কে সবশেষ গুঞ্জন, যেখানে উঠে এসেছে, ডিভাইসটি আড়াআড়িভাবে ধরলেও বেশ চওড়াই দেখাবে।
তবে সেপ্টেম্বরে মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গ প্রতিবেদনে লিখেছিল, ডিভাইসটি দেখতে অনেকটা দুটি ‘আইফোন এয়ার’ জোড়া লাগানোর মতো হবে। স্যামসাং ও অ্যাপল উভয় কোম্পানির এই ভাঁজ করা ফোন ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ বাজারে আসতে পারে। চার দশমিক তিন রেশিও’র স্ক্রিন মূলত ই-বুক বা ডকুমেন্ট পড়া, ছবি দেখা ও ডিজাইন বা ছবি এডিটিংয়ের মতো সৃজনশীল কাজের জন্য বেশ ভালো। তবে সাধারণ ল্যান্ডস্কেপ বা পোরট্রেইট ভিডিও দেখার সময় স্ক্রিনের উপরে ও নিচে দৃষ্টিকটু কালো বার দেখা যাবে। আর এ সমস্যাটি স্যামসাংয়ের বর্গাকৃতি ‘জেড ফোল্ড ৭’ ফোনে এখনই ব্যবহারকারীদের নজরে এসেছে।