মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আবার কারেকশন করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাঁচ দিনের দরপতনের পর, মূল্য 1.0952 এর লেভেলে পৌঁছেছে কিন্তু মূল্য 100 পিপসও বাড়তে ব্যর্থ হয়েছে। এই মুহূর্তে, মূল্য আবার এই লেভেলের দিকে নেমে যাচ্ছে, এবং আমরা মনে করি যে এটি সম্পূর্ণরূপে যৌক্তিক পরিস্থিতি। আমরা বারবার বলেছি যে ইউরো অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়েছে। 2024 সাল জুড়ে, মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির তুলনায় ইউরোর মূল্য অনেক বেশি ঘন ঘন বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা শুধুমাত্র ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার প্রত্যাশিত নমনীয়করণ সম্পর্কিত বিষয়গুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে। আমরা আরও সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে একবার ফেডের নীতিমালার নমনীয়করণ শুরু হলে, ডলারের দরপতনের আর কোন কারণ থাকবে না, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই সুদের কমানোর পুরো চক্রের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে, এই পেয়ারের মূল্যের কোন কার্যকর কারেকশনের চেয়ে নতুন করে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
মঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, কোনও ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি এবং সারা দিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম ছিল, এবং এই পেয়ার আবার দরপতনের দিকে ঝুঁকছে। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু আপাতত, মনে হচ্ছে মার্কিন ডলার কারেকশন ছাড়াই শক্তিশালী হতে থাকবে।
বুধবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:
গত সপ্তাহে, প্রতি ঘণ্টার চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, মধ্যমেয়াদে আবার অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি শুরু হতে পারে, কেননা কেউ জানে না মার্কেটের ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবে। যাইহোক, প্রতি ঘন্টায় টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা রয়েছে। একটি কারেকশনের পরে (বা এমনকি এটি না হলেও), ইউরোর আরও দরপতন আশা করা যেতে পারে, কারণ এটি অনেক বেশি ক্রয় করা হয়েছে।
বুধবার, 1.0951 লেভেলের কাছাকাছি ট্রেডিং করা যেতে পারে। যেহেতু ইউরো টানা পাঁচ দিন দরপতনের শিকার হয়েছে হয়েছে, এই সপ্তাহে একটি কারেকশন বেশ যৌক্তিক হবে, তাই ইউরোর মূল্যের সামান্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্য উল্লিখিত লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে ডলারের মূল্যের প্রত্যাশিত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
5-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, নিম্নোক্ত লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140, 1.1189-1.1191, 1.1275-1.1292। বুধবার, ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করবে, আজ খুবই মন্থর মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।