মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবারও কারেকশন করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং মূল্য নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেলও অতিক্রম করতে পারেনি। তাই, প্রযুক্তিগত চিত্র থেকে বোঝা যায় যে কারেকশন ছাড়াই এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। অবশ্য, আমরা এখনও এই সপ্তাহে প্রকাশিতব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি, যেটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম হলে সেটি ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে। তবে, এই প্রতিবেদন এখনও প্রকাশিত হয়নি, তাই এটি নিয়ে এখনই অনুমান করার কোনও মানে নেই। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন কয়েক মাস আগে যেমন ফেডের নীতিমালা এবং ডলারের বিনিময় হারের উপর প্রভাব ফেলত, এখন আরও তেমন প্রভাব ফেলছে না। ফেডারেল রিজার্ভ ইতোমধ্যেই আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ শুরু করেছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। মার্কেটের ট্রেডাররা আগে থেকেই ফেডের সুদের হার কমানোর অপেক্ষায় ছিল, আর এখন সেটা শুরু হওয়ায়, তাদের কাছে ডলার বিক্রি করার আর কোন কারণ নেই।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
মঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে দুবার এবং রাতের বেলায় তৃতীয়বার বাউন্স করেছে। যদিও কোনও উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা যায়নি, তাই আজকেও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। কোন বাই সিগন্যাল গঠিত না হওয়ায় শর্ট পজিশনগুলো ক্লোজ করার কোন কারণ ছিল না। তাই, শর্ট পজিশন হোল্ড করে রাখা যেতে পারে এবং মূল্য 1.3043 এর দিকে যাওয়ার টার্গেট নির্ধারণ করা যেতে পারে।
বুধবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:
এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের বহুল প্রতীক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু করেছে, তবে এই পেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এখনও পর্যন্ত কোন কারেকশন দেখা যায়নি, এবং সামনে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, মধ্যমেয়াদে আমরা এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল।
বুধবার, ব্রিটিশ পাউন্ডের ধীর গতির দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ কোন উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করা হচ্ছে না।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, আপনি নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করে ট্রেড করতে পারেন: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440, 1.3488, 1.3537। বুধবার, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে, এবং এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের কোন কারেকশনের সম্ভাবনা দেখা যায়নি।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।