আজ ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকেই EUR/GBP পেয়ারটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে এবং 0.8300 এর রাউন্ড লেভেলের কাছাকাছি সাপোর্ট খুঁজে পাচ্ছে।
তবে, মৌলিক কারণগুলো এখনো মার্কেটে বিয়ারিশ প্রবণটা সৃষ্টি করছে, যা এই পেয়ারের আরও দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি করছে। ইউরো দুর্বল হচ্ছে, কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারেন বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) ডোভিশ নীতির কারণে এই পরিস্থিতি আরও নেতিবাচক হয়েছে, যা ইউরোজোনের হারমোনাইজড কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (HICP) বৃদ্ধিকে ছাপিয়ে গেছে, যা জানুয়ারিতে বার্ষিক ভিত্তিতে 2.5% এ পৌঁছেছে।
গত সপ্তাহে, ইসিবি প্রত্যাশিতভাবে ঋণের সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে এবং বছরের শেষ নাগাদ আরও সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। এটি ইউরোর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে এবং স্বল্প-মেয়াদে EUR/GBP ক্রস পেয়ারের নিম্নমুখী প্রবণতার পূর্বাভাস আরও জোরদার করেছে।
তবে, ট্রেডাররা হয়তো বৃহস্পতিবার নির্ধারিত ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করতে পারে এবং আগ্রাসী অবস্থান নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে।
এই কারণগুলো গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান নিম্নমুখী প্রবণতার অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দেয়, ফলে পুনরুদ্ধারের যেকোনো প্রচেষ্টাকে এই পেয়ার বিক্রির সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে এবং তা সীমিত থাকবে।
তবে, আজ গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের অভাবে ট্রেডাররা মার্কেটে বাইরে থাকতে পারে এবং পরিবর্তে আসন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইভেন্টগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে পারে।
টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (RSI) নেগেটিভ টেরীটোরিতে রয়েছে এবং ওভারসোল্ড জোনের কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফলস্বরূপ, স্বল্প-মেয়াদে একটি কারেকটিভ রিবাউন্ডের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে পুনরুদ্ধারের যেকোনো প্রচেষ্টাকে বিক্রির সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।