প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ১৪ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::14 মার্চ at 6:45 (UTC+0)

১৪ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৪ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য সামান্য হ্রাস পেয়েছিল, তবে মূল্য খুব সংকীর্ণ একটি রেঞ্জের মধ্যে রয়ে গেছে, যা একটি সাইডওয়েজ চ্যানেলের মতো মনে হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.2913 এবং 1.2980 লেভেলের মধ্যে ওঠানামা করছে। উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও, এখনো কোনো কারেকশন শুরু হয়নি, যা ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে ডলার ক্রয়ের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে না বা লং পজিশন থেকে মুনাফা গ্রহণ করছে না। বেশিরভাগ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক কারণ উপেক্ষিত হচ্ছে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ট্রাম্প কখন নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা করবেন, যা সম্ভবত ডলারের আরেকটি দরপতনের কারণ হতে পারে, তা অনিশ্চিত। পাশাপাশি, মার্কেটের ট্রেডাররা কবে এই একমাত্র বিষয় থেকে দৃষ্টি সরিয়ে অন্যান্য প্রভাবগুলোর দিকে মনোযোগ দেবে, সেটিও অজানা। এখনো এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সক্রিয় রয়েছে, কারণ ট্রেন্ডলাইন কার্যকর রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৪ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। পুরো দিনজুড়ে, এই পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের সীমানার কাছাকাছি যায়নি, যা মার্কেটে এন্ট্রির জন্য কোনো যথার্থ কারণ সৃষ্টি করেনি।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, তবে ট্রাম্প এটি প্রতিরোধ করে যাচ্ছেন। আমরা এখনো মাঝারি মেয়াদে 1.1800 এর লেভেল পর্যন্ত পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, তবে ট্রাম্পের প্রভাবের কারণে ডলারের দরপতন কতদিন অব্যাহত থাকবে তা অনিশ্চিত। একবার এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল চিত্র নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে আপাতত, দীর্ঘমেয়াদে এখনো এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশিত হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিরর্থক নয়, তবে এটি অতিরিক্ত এবং অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, যদি ট্রাম্প বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে থাকেন এবং বিশ্বব্যাপী তার বিভিন্ন শর্ত আরোপ করতে থাকেন, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। নিম্নমুখী কারেকশন অনেক আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে ট্রেডাররা কেবলমাত্র ডলার বিক্রির দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107।

শুক্রবার, যুক্তরাজ্যে জানুয়ারি মাসের জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এগুলো তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, তবে খুব বেশি উল্লেখযোগ্য নয়, এবং এগুলো সম্ভবত পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দরপতনের কারণ হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শুন পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...