প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ২৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-03-27T06:54:47

২৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

২৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে, এবং এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত প্রতিবেদনের সংখ্যা আরও কম। একমাত্র যেটি কিছুটা গুরুত্ব রাখে তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান। মার্কেটে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি 2.3% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল এর চেয়ে কম হয়, তাহলে ডলার বিক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি তৈরি হতে পারে, যদিও তা খুব বেশি হবে না, কারণ বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মূল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু নয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাপ্তাহিক বেকার ভাতার আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, তবে এই প্রতিবেদন খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং সাধারণত মূল ফলাফলে পূর্বাভাস থেকে তেমন বিচ্যুতি দেখা না। আজ জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একেবারেই কোন প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

২৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির বক্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য। তবে মনে রাখা দরকার যে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি তাদের নীতিগত বৈঠক সম্পন্ন করেছে, তাই মাত্র এক বা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে এমন সম্ভাবনা খুব কম। আবার, লাগার্দের বক্তব্য সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তাই দিনের বেলায় ট্রেডিং চলাকালীন সময়ে এটি কোনো প্রভাব ফেলবে না — এমনকি তাত্ত্বিকভাবেও নয়।

উপসংহার:

সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শুরু হওয়া দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যই নিজ নিজ অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে কনসোলিডেট করেছে, এবং ফেডের বর্তমান অবস্থান ডলারের পূর্বের দরপতন কিছুটা পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দিচ্ছে। অবশ্য, কেউই জানে না ট্রাম্প কখন নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক ঘোষণা করবেন বা সেগুলোর ধরণ কেমন হবে, তবে এই বিষয়টি বারবার ডলারের দরপতন ঘটানোর একমাত্র চালিকা শক্তি হতে পারে না। বর্তমানে নিম্নমুখী কারেকশনের চেয়ে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সাইডওয়েজ (ফ্ল্যাট) মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...