প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ১৮ এপ্রিল কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-04-18T05:39:10

১৮ এপ্রিল কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৮ এপ্রিল কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ার সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে ট্রেড করেছে, যেমনটি উপরের ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমের চার্টে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে মার্কেটের পরিস্থিতি যতটা সরল হওয়া সম্ভব, ঠিক ততটাই সরল। গতকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) তাদের বৈঠকে মূল সুদের হার সপ্তমবারের মতো কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই বৈঠক বা আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সিদ্ধান্ত ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টে কোনো প্রভাব ফেলেনি। বৃহস্পতিবার মার্কেটে এ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম অস্থিরতা বিরাজ করেছে, যদিও গতকাল সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপট আগের দিনের তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখযোগ্য ছিল। তাই মূল উপসংহার বেশ স্পষ্ট: মার্কেটের ট্রেডাররা এখন কেবল বাণিজ্যযুদ্ধ-সংক্রান্ত সংবাদের ভিত্তিতেই ট্রেড করছে। যদি এমন কোনো সংবাদ না থাকে, তাহলে মার্কেটে কোনো মুভমেন্ট সৃষ্টি হচ্ছে, এবং এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট ফ্ল্যাট রয়ে গেছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৮ এপ্রিল কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি, এবং সারাদিনজুড়ে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে মার্কেটে এন্ট্রির জন্য কোনো যৌক্তিক ভিত্তি গঠিত হয়নি। কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক প্রেক্ষাপট এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করেনি। ট্রেডাররা এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। এই প্রবণতা কতদিন স্থায়ী হবে তা অনিশ্চিত, কারণ কেউ জানে না যে ট্রাম্প আরও কত শুল্ক আরোপ করবেন। বাণিজ্যযুদ্ধে পুনরায় বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়াও একেবারে অসম্ভব নয়, কারণ অনেক দেশই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে — যা অবশ্যই মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। ট্রাম্পের তথাকথিত শুল্ক "ছাড়" দেওয়ার পরও ডলার শক্তিশালী হতে পারেনি, কারণ যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সংঘাত এখন মূল আলোচ্য বিষয়, এবং সেখানে কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি নেই। অন্য সব সামষ্টিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপট বর্তমানে কার্যত কোনো গুরুত্ব বহন করছে না।

শুক্রবার এই পেয়ারের মূল্যের আবারও সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। আমরা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নিয়ে কোনো পূর্বাভাস দিচ্ছি না, কারণ যেকোনো মুহূর্তে বাণিজ্যযুদ্ধ-সংক্রান্ত সংবাদ আসতে পারে। এর মানে, যেকোনো সময় হঠাৎ করে ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি বা দরপতন হতে পারে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে যেসব লেভেল বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.0797–1.0804, 1.0859–1.0861, 1.0888–1.0896, 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1189–1.1191, 1.1275–1.1292, 1.1330, 1.1395–1.1413, 1.1474–1.1483।

শুক্রবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। তবে হোয়াইট হাউজ থেকে যেকোনো সময় যেকোনো ঘোষণা আসতে পারে, তাই ট্রেডারদের নতুন করে মার্কেটে অস্থিরতার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...