প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ১৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-04-18T05:56:24

১৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার পুরো দিনজুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। এমনকি মূল্য সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালেও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের কোনো ধরনের কারেকশনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। যুক্তরাজ্যে গতকাল উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি, যদিও মঙ্গলবার ও বুধবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তবে সেগুলো এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কোনো সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলেনি। ফলস্বরূপ, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতার ওপর কার্যত কোনো প্রভাব ফেলছে না। যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল কয়েকটি কম গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা মার্কেটের সেন্টিমেন্ট পরিবর্তনের সম্ভাবনা বহন করত না। আজকের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছুই নেই। একমাত্র আশা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর, তবে তার হস্তক্ষেপ ছাড়াও পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। 1.3225 লেভেলের আশেপাশে চারটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়, যা দিন শেষে পরিবর্তিত হয়ে 1.3203-এ স্থানান্তরিত হয়। নতুন ট্রেডাররা এই প্রতিটি সিগন্যালের ভিত্তিতে লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন। এর মধ্যে অন্তত দুটি ট্রেড থেকে ভালো মুনাফা করা গিয়েছে, কারণ মূল্য নিকটবর্তী টার্গেট লেভেল 1.3272 এ পৌঁছেছিল। 1.3272 থেকে রিবাউন্ড হওয়ার পর শর্ট পজিশনও ওপেন করা যেত, সেসময়ও মূল্য নির্ধারিত টার্গেট লেভেলে পৌঁছায়।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ট্রাম্প এখনও ডলারের দরপতন ঘটাতে সম্ভাব্য সবকিছু করে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনার পর থেকেই আমরা দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। মার্কেট এখনও ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে — ডলারের দরপতন ঘটে। ট্রাম্প বিদ্যমান শুল্ক বাড়ালে — ডলারের আরও দরপতন হয়েছে। বাণিজ্যযুদ্ধে বিরতি দেখা গেলেও — মার্কেট স্থিতিশীল থাকে অথবা ডলারের দরপতন ঘটে।

শুক্রবার আবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, মার্কেটের ট্রেডাররা যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির পতন বা জেরোম পাওয়েলের হকিশ বা কঠোর অবস্থানকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছে না। কোনো বাস্তব ভিত্তি ছাড়াই পাউন্ডের মূল্য বাড়তে পারে। তাই কেবল টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা উচিত এবং তাও তখনই যখন স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য সিগন্যাল পাওয়া যায়।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে এখন যেসব লেভেল বিবেচনায় রাখা যেতে পারে: 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3272, 1.3365, 1.3428–1.3440।

শুক্রবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে, তবে তারপরও পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...