প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-05-05T06:22:41

৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সোমবারে খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI ছাড়া আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে এটি নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা আদৌ এটির প্রতি মনোযোগ দেবে কিনা। গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা বেশিরভাগ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকেই উপেক্ষা করেছে। মনে রাখা দরকার, সপ্তাহান্তে কারেন্সি মার্কেট বন্ধ থাকে, ফলে কোনো সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় না। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো "উইকএন্ড" নেই — তাই সোমবারে তিনি হঠাৎ করে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসতে পারে, যেটার প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই — যদিও এই যুদ্ধে আপাতত বিরতি নেয়া হয়েছে। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে ডলারের দরপতন দীর্ঘায়িত হতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আবারও মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা শুরু হতে পারে, আর উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। ট্রাম্প এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখালেও, এটিকে এখনো সত্যিকারের উত্তেজনা প্রশমন বলা যাবে না। ট্রাম্প সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, যদি তিনি আবারো শুল্ক বাড়ান তাহলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বুঝে গেছেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ মার্কিন অর্থনীতির ধ্বংস ডেকে আনতে পারে, তাই খুব শিগগিরই নতুন করে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। একইসাথে, চীনের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ক আলোচনা এখনো শুরু হয়নি, যার মানে "145% – 125%" হারে আরোপিত দণ্ডমূলক শুল্ক এখনো বলবৎ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই বুধবারে দেখেছি যে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির প্রতি মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

উপসংহার:

নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট বজায় থাকতে পারে, তাই 1.1275 লেভেল থেকে একটি বাউন্স হলে সেটি নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূচনা করতে পারে। এখনো ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যদিও এটি টানা চার দিন ধরে দরপতনের শিকার হয়েছে। আনুমানিক 90% সম্ভাবনা রয়েছে যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ই প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ট্রেডিংয়ের জন্য এখন একমাত্র ভরসা হচ্ছে টেকনিক্যাল লেভেল — যদিও দুঃখজনকভাবে ট্রেডাররা সবসময় তা অনুসরণ করে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...