শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করেছে। যেমনটি আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্য আবারও সাইডওয়েজ চ্যানেল থেকে বের হতে ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কারেন্সি মার্কেটে এখনো ডলারের প্রতি কোনো দৃশ্যমান চাহিদা দেখা যাচ্ছে না। মনে করিয়ে দিই, গত সপ্তাহে মার্কিন ডলারের সামনে পরিস্থিতি বদলানোর এক চমৎকার সুযোগ ছিল: ফেডারেল রিজার্ভ "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান গ্রহণ করে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মূল সুদের হার কমায় এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন। শুধুমাত্র শেষ খবরটির কিছুটা ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের মতে, যদি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সময় ডলার দরপতন ঘটায় (যার মধ্যে যুক্তরাজ্যেও শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল), তাহলে যখন ট্রাম্প সেই শুল্ক সরিয়ে নেন বা বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন, তখন ডলারের শক্তিশালী হওয়া উচিত। বর্তমানে সম্পূর্ণ মার্কেট ডলারকে কেন্দ্র করেই ঘুরপাক খাচ্ছে। অর্থাৎ, তিনটি বড় মৌলিক উপাদান মার্কিন ডলারকে সমর্থন করেছে, তবুও তা এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জ ব্রেকের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
শুক্রবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়, তবে দৈনিক ভিত্তিতে মূল্যের মুভমেন্ট যথেষ্ট স্থিতিশীল ছিল। ইউরোপীয় সেশনে, মূল্য 1.3259 লেভেল অতিক্রম করে এবং কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে প্রায় ৪০ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। এটি বিশাল কোনো মুভমেন্ট ছিল না, তবে যথেষ্ট কার্যকর ছিল। মার্কেট ক্লোজ হওয়ার আগে মুনাফার সাথে ট্রেড ক্লোজ করা গেছে।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, যার অর্থ ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে অথবা অন্তত উচ্চ লেভেলে স্থির রয়েছে। এই পেয়ারটির মূল্য এখনো ফ্ল্যাট রেঞ্জেই আটকে আছে। মার্কেটের ট্রেডাররা শুধুমাত্র মৌলিক প্রেক্ষাপটের প্রতি আংশিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রায় সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করছে। তাই যদি পাউন্ডের মূল্য অবশেষে এই ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসে, তাহলে অন্তত টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। আমরা বারবার লক্ষ্য করছি, পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট হচ্ছে না বলেই চলে।
সোমবার যেকোনো দিকেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ মূল্য এখনো সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই অবস্থান করছে। ফেড ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক বৈঠক ডলারকে সমর্থন করলেও, বাস্তবে তা মার্কেটে তেমন প্রভাব ফেলেনি। এমনকি যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তিও ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ও উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারেনি। ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিচের লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই নতুন ট্রেডারদের সম্পূর্ণরূপে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করতে হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।