প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ১৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-05-15T05:30:40

১৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

১৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে খুব কম সংখ্যক প্রতিবেদনই আছে যা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ইউরোজোন ও যুক্তরাজ্যে প্রথম প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান ও শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, ট্রেডাররা সহজেই এই প্রতিবেদনগুলো উপেক্ষা করতে পারেন। প্রথমত, ইউরোপীয় ও ব্রিটিশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। দ্বিতীয়ত, এই সপ্তাহের শুরুতেই প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে ট্রেডাররা গুরুত্ব না দিয়েই পাশ কাটিয়ে গেছে। আজকের মার্কিন প্রতিবেদনগুলোও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় ও প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন কিছুটা মনোযোগের দাবিদার। এপ্রিল মাসে খুচরা বিক্রয় সূচকের দুর্বল ফলাফল দেখা যেতে পারে—কারণ এই সময়েই ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকর হয়।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

১৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

আজ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের একাধিক বক্তব্য রয়েছে। তবে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা ইতোমধ্যেই ট্রেডারদের কাছে বেশ স্পষ্ট, তাই এই বক্তব্যগুলো থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

আমাদের মতে, মার্কেটে প্রকৃত অর্থে কেবলমাত্র বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত খবরই প্রভাব বিস্তার করছে, এবং ডলার বিক্রির যৌক্তিকতা তৈরি করছে। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা আপাতত স্থগিত হয়েছে, আর ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে চলেছেন—তবে কোন বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছেন না।

যদি ট্রাম্প আবার নতুন করে শুল্ক আরোপ করা শুরু করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন, অথবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্যর্থ হন, তাহলে নতুন করে ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যেটুকু উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে, সেটি অন্তত মাঝে মাঝে মার্কিন মুদ্রাকে কিছুটা সমর্থন দিতে পারে।

তবে তা সত্ত্বেও, মার্কেটে ডলারের প্রতি সামগ্রিক মনোভাব অত্যন্ত নেতিবাচকই রয়ে গেছে, যার ফলে মার্কিন গ্রিনব্যাকের শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা এখনো খুবই কম।

উপসংহার:

এই সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা উচিত হবে না—যদিও প্রতিক্রিয়া দুর্বল হতে পারে, তবুও সামান্য প্রতিক্রিয়াও দৈনিক ভিত্তিতে মার্কেটের দিকনির্দেশনায় প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...