প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ২৮ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-05-28T05:52:09

২৮ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২৮ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মতোই GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে এবং এর পেছনের কারণও একই। প্রথমত, উরসুলা ভন ডার লায়েনের সঙ্গে আলোচনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সময়সীমা পিছিয়ে ৯ জুলাই নির্ধারণ করেন। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রের ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কম হতাশাজনক ছিল। সত্যি বলতে গেলে, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন ডলারের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট হয়তো একেবারেই ঘটতো না — কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা সম্প্রতি ডলার-সমর্থিত অনেক উপাদানকেই উপেক্ষা করছে। তবে মাঝে মাঝে কারেকশনের প্রয়োজন হয়; এই ক্ষেত্রে, কারেকশনটি সংবাদঘটিত কারণের সঙ্গে মিলে গেছে।

টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এখনো ট্রেন্ডলাইনের উপরে অবস্থান করছে, সুতরাং এটির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে। এই লাইন থেকে একটি রিবাউন্ড হলে নতুন করে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনা হতে পারে। গত কয়েক মাসে ট্রেডারদের এই পেয়ার কেনার ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধা ছিল না — এমনকি শক্তিশালী কোনো মৌলিক কারণ না থাকলেও ডলারের বিপরীতে ব্যাপকভাবে পাউন্ড কেনা হচ্ছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২৮ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেগুলোর কার্যকারিতার মান বেশ দুর্বল ছিল। দিনের বিভিন্ন সময়ে মূল্য বারবার দিক পরিবর্তন করেছে, বিশেষ করে 1.3537 লেভেলের আশেপাশে। সব সিগন্যালই এই লেভেলের আশেপাশে গঠিত হয়, তাই কেবল প্রথম দুটি সিগন্যাল ট্রেডযোগ্য ছিল। প্রথম সিগন্যালটি ক্ষতির কারণ হয়নি, কারণ মূল্য ২০ পিপস অনুকূল দিকে অগ্রসর হয়েছিল। দ্বিতীয় ট্রেডটি সামান্য লোকসানের মাধ্যমে ক্লোজ হয়।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি অত্যন্ত সংশয়ী অবস্থানে রয়েছে। যদিও বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তবুও মার্কেটে ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য আশাবাদ দেখা যাচ্ছে না। গত কয়েক দিনে ডলারের দর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এটি শুধুমাত্র একটি ক্ষণস্থায়ী কারেকশন। যতক্ষণ না মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে নিচের দিকে যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে ডলার মূল্যের প্রবণতার পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে না।

বুধবার এই পেয়ারের বর্তমান দরপতন শেষ হতে পারে। ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে এই পেয়ারের মূল্য এখন ট্রেন্ডলাইনের খুব কাছাকাছি রয়েছে এবং ডলারের আরও দর বৃদ্ধির জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য কারণও দেখা যাচ্ছে না।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে উল্লিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3537, 1.3580–1.3592, 1.3652–1.3660, 1.3695।

বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে FOMC-এর বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে — যা একটি আনুষ্ঠানিক নথি। আমরা ফেডের মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশের পর মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়ার আশা করছি না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...