প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ৯ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-07-09T07:15:14

৯ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৯ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মাঝারি মাত্রার নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা স্পষ্টভাবে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সোমবার ও মঙ্গলবার—এই দুদিনেই যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশিত বা ইভেন্ট ছিল না। কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের ১৫টি দেশের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যিক অংশীদারদের "উত্তেজিত" করার চেষ্টা করেছেন। মার্কেটের ট্রেডাররা এই সিদ্ধান্তের প্রতি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি—অন্যথায়, আমরা আরও একবার ডলারের তীব্র দরপতন দেখতে পেতাম। ট্রেডাররা শান্ত ছিল কারণ বাস্তবে কোনো শুল্ক বৃদ্ধি কার্যকর হয়নি। ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, এই শুল্ক ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে, যাতে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে। এবং ১ আগস্টের আগ পর্যন্ত অনেক কিছুই ঘটতে পারে। ট্রাম্প এই সময়ের মধ্যে আরও দশবার শুল্ক হার পরিবর্তন করতে পারেন। এছাড়াও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাতের বেলায় সমস্ত তামা আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছেন। এটি স্পষ্ট যে বাণিজ্যসংঘাত নিরসনের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৯ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে একাধিক শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিই যে প্রতিটি সিগন্যাল লাভজনক হবে—এমনটি নয়। ট্রেডিংয়ে লোকসান ও মুনাফা—উভয়ই হয়। গতকাল একটি সফল দিন ছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3643 লেভেল থেকে নিখুঁতভাবে রিবাউন্ড করে এবং মার্কিন সেশনের শুরুতে 1.3518–1.3535 লেভেলে পৌঁছে যায়। এই এরিয়া থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে একটি বাই এন্ট্রির সুযোগ তৈরি হয়, এবং দিনের শেষে মূল্য 1.3574–1.3590 লেভেলে ফিরে আসে। এর ফলে দুটি ট্রেড ওপেন করা যেত—দুটি ট্রেডই লাভজনক ছিল।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, গত সপ্তাহে GBP/USD পেয়ার তীব্র দরপতনের শিকার হয়েছিল, তবে সেটাই ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ছিল। গত চার দিনে মার্কিন ডলারের দর কেবল সামান্য পরিমাণে বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এটির মূল্য কেবল একদিনের জন্যই বেড়েছে, তাও একের পর এক মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল উপেক্ষা করে। সুতরাং, একই পরিস্থিতি বজায় রয়েছে: ট্রেডাররা এখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ডলার কেনার ব্যাপারে আগ্রহী নয়। বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে, তা একটি টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

বুধবার, আবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হতে পারে, কারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে একটি ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং সেটি ব্রেক করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সংকেত দেবে। যেকোনো সময় পুনরায় ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।

বুধবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা বক্তৃতা নির্ধারিত নেই, তাই ট্রেডাররা আবারও শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা ও সিদ্ধান্তের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  • গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...