প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ৮ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-08-08T05:58:35

৮ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৮ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার দিনভর GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। গতকাল, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড খুব অল্প ব্যবধানে নীতিগত সুদের হার কমানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে — যা সাধারণভাবে ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতনের কারণ হতে পারত। তবে ট্রেডাররা মানসিকভাবে এমন একটি সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তারা যা আশা করেনি, তা হলো — মুদ্রানীতিনির্ধারণী কমিটির ৯ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৫ জন সদস্য সুদের হার কমানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটের ফলাফল প্রকাশ করেছে যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সদস্যদের প্রকৃত মনোভাব বিশ্লেষক ও ট্রেডারদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম ডভিশ বা নমনীয়।

আমাদের দৃষ্টিতে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আগস্টে মুদ্রানীতির কোনো ধরনের নমনীয় করা উচিত ছিল না, কারণ যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাড়ছে এবং এখন তা ব্যাংকটির লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছেছে। তাছাড়া, অর্থনীতি ও শ্রমবাজারের অবস্থাও এতটা খারাপ নয় যে তা সুদের হার কমানোর যৌক্তিকতা প্রদান করে। যেকোনো পরিস্থিতিতে, মূল বিষয়গুলো এখনও যুক্তরাষ্ট্র-সম্পর্কিত এবং সেগুলোর ভিত্তিতে ডলার তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপরীতে দীর্ঘ সময় ধরে দুর্বল থাকতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৮ আগস্ট কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার অনেকগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেগুলো সবই ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের পর অর্থাৎ মার্কেটে অস্থিরতার সময়ে গঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকের মতো বড় ইভেন্টের পরে স্বাভাবিকভাবেই অস্থিরতার মাত্রা বাড়ে এবং মূল্যের অপ্রত্যাশিত মুভমেন্ট দেখা যায়। এজন্য, এই ধরনের ইভেন্টের পরে শুধুমাত্র খুব স্পষ্ট সিগন্যালগুলোই বিবেচনায় নেওয়া উচিত — এবং গতকাল তেমন কোনো স্পষ্ট সিগন্যাল দেখা যায়নি।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টতই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল দেখার পর, আমরা ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ার পক্ষে এক পয়সাও বাজি ধরতাম না। যদিও ট্রেডাররা এখনো হঠাৎ করে ডলার বিক্রি করা শুরু করেনি, তবে প্রতিদিনই ধীরে ধীরে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটছে। ডিসেন্ডিং চ্যানেল ব্রেকআউট নিশ্চিত হয়েছে, যা নির্দেশ করে যে ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে এখন বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে।

শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে, যেকোনো সাপোর্ট লেভেল রিবাউন্ড ও নতুন বুলিশ মোমেন্টামের জন্য সম্ভাব্য সূচনাস্থান হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু আজ উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই, তাই 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে মূল্যের বাউন্সের ফলে নতুন ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে, এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে কারেকশন শুরু হতে পারে।

৫ মিনিটের চার্টে আজ ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।

যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই, ফলে আজ এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে এবং মূল্যের মুভমেন্ট দুর্বল হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...