সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এগুলোর প্রায় সবকটিই গুরুত্বপূর্ণ বা অন্ততপক্ষে তুলনামূলকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। অবশ্যই মূল দৃষ্টি থাকবে মার্কিন ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হারের ওপর। এসব প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের 16–17 সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে। যদি বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পায় এবং ননফার্ম পেরোল আবারো পূর্বাভাসের নিচে আসে, তবে ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবেই মূল সুদের হার কমাবে। এর ফলে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটতে পারে, যা আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রত্যাশা করছি। অন্যান্য প্রতিবেদনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয়, ইউরোজোনের জিডিপি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মজুরি সম্পর্কিত পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্য। তবে আমাদের ধারণা, এসব প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে মার্কেটে দুর্বল অথবা একেবারেই কোনো প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
শুক্রবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে আলাদা করে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই—এবং আজ সেগুলোর প্রয়োজনও পড়বে না। ট্রেডাররা ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হাতে পাবে। মনে করিয়ে দিই, যেকোনো পরিস্থিতিতেই ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবে সুদের হার কমানো শুরু করবে। একমাত্র প্রশ্ন হলো, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে কত দ্রুত সুদের হার কমানো হবে। তাই এই পুরো সময়ে মৌলিক প্রেক্ষাপটগত দিক থেকে মার্কিন মুদ্রা উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে থাকবে। চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কথাও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি চলমান থাকলে মার্কিন ডলারের চাহিদা সৃষ্টির কোনো সুযোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অতিরিক্তভাবে, ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর তালিকায় ফেডের ওপর ট্রাম্পের চাপ প্রয়োগকেও যুক্ত করা যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে ফেডের অর্ধেক সদস্যকে পরিবর্তন করতে চান, যা ফেডের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং মার্কিন ডলারের প্রতি আস্থা আরও দুর্বল করতে পারে।
উপসংহার:
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে। তবে এ সপ্তাহে ভোলাটিলিটি অত্যন্ত কম, এবং কার্যত কোনো প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়নি। তাই মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আমরা মার্কেটে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি না। মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর মার্কেটে কী ঘটবে, তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সেই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের ওপর।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।