সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবার খুব অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত হয়েছে, আর সপ্তাহের শেষ দিকে ট্রেডাররা পুরোপুরিভাবে ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের দিকে মনোযোগ দেবে। ফেড গতকাল সন্ধ্যায় তাদের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করেছে, তবে আজকের পুরোটা সময় এই দুটি কারেন্সি পেয়ার সেই ইভেন্টের চাপের মধ্যে থাকতে পারে। ফেডের বৈঠকের পর আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নিঃসন্দেহে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হবে, তবে একই সময়ে এটি পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট ঘটাতে পারে, কারণ ট্রেডাররা সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ভোট বণ্টনের দিকে মনোযোগ দেবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণ বেশ উল্লেখযোগ্য। লাগার্ড ইতোমধ্যেই এই সপ্তাহে দুইবার বক্তব্য রেখেছেন, এবং উভয় ক্ষেত্রেই তিনি মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই ট্রেডারদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যেই সরবরাহ করা হয়েছে। আজকের মূল ইভেন্ট হলো ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বৈঠক। এই বৈঠকের ফলাফল দিনেরবেলা ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণ করবে।
উপসংহার:
সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, তবে এর জন্য নতুন বাই সিগন্যাল গঠন হওয়া প্রয়োজন। আজ 1.1808 লেভেল থেকে ইউরো ট্রেড করা যেতে পারে, আর পাউন্ডে ট্রেডিং নির্ভর করবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের ওপর। এই গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত মার্কেটে এন্ট্রি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না, কারণ অনিশ্চিত প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে—আগেভাগে কেউই জানে না যে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী সিদ্ধান্ত নেবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।