প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ ২৩ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-09-23T06:01:58

২৩ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২৩ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল, যা গত সপ্তাহের শেষ দিকে দরপতনের পর রিবাউন্ড করে। মনে করিয়ে দিই, পাউন্ডের দরপতনের জন্য অন্তত কিছু বৈধ কারণ ছিল, যার কারণে এটির দরপতন ইউরোর তুলনায় তীব্রতর হয়েছিল এবং এর পুনরুদ্ধারের মাত্রাও দুর্বল ছিল। সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ছিল না। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের হু পিল এবং অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা ট্রেডারদের কোনো নতুন বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়নি। তাই পাউন্ড মূলত ট্রেডারদের উদ্দীপনার কারণে পুনরুদ্ধার করেছিল। আমরা মনে করি না যে গত সপ্তাহে পাউন্ডের দরপতন ঘটানোর কারণগুলো এই সপ্তাহে কার্যকর থাকবে। একইভাবে, আমরা মনে করি না যে GBP/USD-এর মৌলিক প্রেক্ষাপট 180 ডিগ্রি পরিবর্তিত হয়ে গেছে যাতে আরও দরপতনের আশা করা যায়। পাউন্ড এখনও মার্কিন ডলারের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয়। তবে টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তাই আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ট্রেন্ডলাইন আঁকা সম্ভব নয়, কারণ দুটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত সর্বোচ্চ লেভেল নেই।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২৩ সেপ্টেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ইউরোপীয় সেশনের শুরুতেই একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মূল্য 1.3466–1.3475 লেভেল ব্রেক করে, যা নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়। এরপর পাউন্ডের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল, তাই সারাদিন লং পজিশন হোল্ড করে রাখা সম্ভব হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতেরবেলা এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 1.3529–1.3543-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল। এই পর্যায়েই ট্রেড ক্লোজ করে মুনাফা নেওয়া যেত।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেট করেছে, যা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মূল্য বৃদ্ধির পর একটি নতুন টেকনিক্যাল কারেকশনের সম্ভাবনা তৈরি করছে। আগেই উল্লেখ করেছি, আমরা মধ্যমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি দেখছি না, তাই মধ্যমেয়াদে শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে। দৈনিক চার্টে বর্তমান প্রবণতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।

মঙ্গলবার আবারও GBP/USD পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে। 1.3529–1.3543 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হলে নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3466–1.3475। টেকনিক্যালি, এমন একটি রিবাউন্ড ইতোমধ্যেই হয়েছে, যদিও সামান্য বিচ্যুতি ছিল। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543 লেভেলের উপরে পৌঁছায় তাহলে নতুন লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, তখন লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3574–1.3590।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতে সংশ্লিষ্ট PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং সন্ধ্যায় জেরোম পাওয়েল বক্তব্য রাখবেন। ফেডের বৈঠকের পর পাওয়েল নতুন কিছু বলবেন বলে আশা করা যাচ্ছে না, এবং PMI প্রতিবেদনের ফলাফল কেবল প্রত্যাশা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হলে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...