সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবার জার্মানি, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বর মাসের পরিষেবা ও উৎপাদন খাত সংশ্লিষ্ট PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মনে করিয়ে দিই, যুক্তরাষ্ট্রে "অভ্যন্তরীণভাবে" ISM থেকে PMI পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়, যা ট্রেডারদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, ইউরোপীয় সূচকগুলোর একক সংস্করণ প্রকাশিত হয়, তাই সেগুলোর প্রতিও নজর দেওয়া প্রয়োজন। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া নির্ভর করবে প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাস থেকে কতটা ভিন্ন হয় কিনা তার উপর। ফলাফল ও পূর্বাভাসের মধ্যে বিচ্যুতি যত বেশি হবে, প্রতিক্রিয়া ততই তীব্র হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা নিঃসন্দেহে প্রধান আকর্ষণ। যদিও তিনি ফেডের বৈঠকের পরই সর্বশেষ বক্তব্য দিয়েছেন (তাই মুদ্রানীতি নিয়ে আলোচনা এড়ানো সম্ভব হয়নি), আজ তিনি এ ব্যাপারে অতিরিক্ত কিছু মন্তব্য করতে পারেন যা ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান নিয়ে বাজারকে আশ্বস্ত করবে। আমাদের বিশ্বাস, পাওয়েলের বক্তৃতা মার্কিন ডলারের আরেক দফা দরপতন ঘটানোর সম্ভাবনা বেশি, দর বৃদ্ধি নয়। যেকোনো অবস্থায়, ফেডের অবস্থান ইতোমধ্যেই ডোভিশ বা নমনীয়, অর্থাৎ এই বিষয়টির প্রভাবে হলেও ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা কম।
উপসংহার:
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন পুনরায় শুরু হতে পারে, তবে নিম্নমুখী প্রবণতা কেবল পাউন্ডের ক্ষেত্রে বিদ্যমান। গত সপ্তাহে ইউরোর দরপতনের কোনো বাস্তব কারণ ছিল না। এছাড়া, আজ প্রকাশিতব্য বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন উভয় পেয়ারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই টেকনিক্যাল লেভেল অনুযায়ী এবং প্রতিবেদনের ফলাফলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ট্রেড করা উচিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।