সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:
EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট
সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ভোলাট্যালিটির মাত্রা ছিল ৩৭ পিপস। সংক্ষেপে বলতে গেলে, পূর্ববর্তী সেশনে বিশ্লেষণযোগ্য কিছুই ছিল না। সারাদিন জুড়ে কোনো উল্লেখযোগ্য বা এমনকি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি বা কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও ছিল না। সেই কারণে, এই পেয়ারের মূল্যের সীমিত মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। ১-ঘণ্টার টাইমফ্রেম অনুযায়ী, আরও একটি ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করার পরেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বিদ্যমান, কিন্তু আমরা আবারও দেখছি যে ট্রেডারদের মধ্যে ইউরো ক্রয় বা কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি আগ্রহের অভাব রয়েছে।
এটি ইঙ্গিত দেয় যে, যদিও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, এটি অত্যন্ত ধীরগতিতে ঘটবে। দৈনিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য একটি ফ্ল্যাট (সাইডওয়েজ) স্ট্রাকচারের মধ্যে আটকে আছে, মনে হচ্ছে এটিই মার্কেটে চলমান স্থবিরতার মূল কারণ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভোলাট্যালিটির মাত্রা কমেই চলেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোও এখন মার্কেটে খুব সামান্য প্রভাব সৃষ্টি করছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিটের চার্ট অনুযায়ী, সোমবার শুধুমাত্র একটিই স্পষ্ট ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করেছিল, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। সিগন্যাল গঠনের আট ঘণ্টা পর এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ১০ পিপস হ্রাস পেয়েছিল। আজ আরও নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে শক্তিশালী মুভমেন্টের সম্ভাবনা খুবই কম।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে
১-ঘণ্টার চার্ট অনুযায়ী, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এবং এখনো সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের জন্য অত্যন্ত প্রতিকূল। তাই, আমরা এখনো ২০২৫ সালের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। তবে, ট্রেডারদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ দৈনিক টাইমফ্রেমে দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত ফ্ল্যাট মুভমেন্ট এখনো কার্যকর রয়েছে। এই ফ্ল্যাট মুভমেন্টই লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভোলাট্যালিটি ও অস্থিতিশীল মুভমেন্টের মূল কারণ।
মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি নেই। ইতোমধ্যেই 1.1655–1.1666 এরিয়ায় একটি শর্ট পজিশন ওপেন করার সিগন্যাল গঠিক হয়েছে, তাই আজ সীমিত পরিসরে নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। তবে, মার্কেটে সামগ্রিকভাবে সোমবারের মতোই পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
মঙ্গলবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী, নিচের লেভেলগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988।
আজ ইউরোজোনে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের একটি ভাষণ নির্ধারিত রয়েছে, কিন্তু তার বক্তব্যের প্রতি ট্রেডারদের আগ্রহ খুবই সীমিত। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।