সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:
GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট
সোমবার খুবই কম ভোলাট্যালিটির মধ্যে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হয়েছে, এবং সেশনের পুরোটা সময় জুড়ে এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে নিম্নমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। বাস্তবে, এই ধরনের মুভমেন্ট কোনোভাবেই অপ্রত্যাশিত নয়—বরং বলা যায় এটি প্রত্যাশিতই ছিল। সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও ছিল না। পূর্ববর্তী তিন দিন ধরে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অংশ হিসেবে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তাই সামান্য নিম্নমুখী কারেকশন পুরোপুরি স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা যায়। দৈনিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, এখনো এই পেয়ারের মূল্য স্পষ্টভাবে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে, তাই এই মুহূর্তে তীব্র ভোলাট্যালিটি বা সুস্পষ্ট প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্টের আশা করা ঠিক হবে না।
এটি উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ যে, মার্কেটের ট্রেডাররা গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে অনেক প্রতিবেদন—বিশেষ করে যেগুলো মার্কিন ডলারের জন্য নেতিবাচক—উপেক্ষা করে চলেছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, বর্তমানে মার্কেটের মুভমেন্টে সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অথবা যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক পর্যায়ের সামগ্রিক মৌলিক চিত্রের সঠিক প্রতিফলন ঘটছে না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিটের চার্ট অনুযায়ী, সোমবার সারাদিনে একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। তবে, সেগুলোর কোনোটিই চার্টে চিহ্নিত করা হয়নি কারণ এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাট্যালিটির মাত্রা মোটামুটি সর্বোচ্চ ৪০ পিপসে পৌঁছেছিল। বাস্তবে, কার্যত কোনো অর্থবহ মুভমেন্ট দেখা যায়নি। আগেও বলা হয়েছে, সাধারণত এত কম ভোলাট্যালিটির মধ্যে ট্রেডিং সিগন্যাল থেকে লাভ করা কঠিন।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুসারে, এখন অবশেষে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন বুলিশ প্রবণতা গঠিত হচ্ছে, যা পরবর্তীতে বড় ধরণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অংশ হতে পারে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমানেডলারের মূল্যের ধারাবাহিক বৃদ্ধির জন্য কোনো শক্তিশালী কারণ নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের ধারাবাহিকতা দেখতে চাই। তবে এখন মার্কেটে ভোলাট্যালিটির মাত্রা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি রয়েছে এবং এখনো এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে স্পষ্ট কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম দেখা যেতে পারে, কারণ সার্বিক প্রবণতা এখন বুলিশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে, লং পজিশন ওপেন করার জন্য দৃঢ়ভাবে 1.3413–1.3421 জোনের ব্রেকআউট ও এর উপরে কনসোলিডেশন হওয়া প্রয়োজন। যদি সেটি ঘটে, তাহলে লং ট্রেডের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3466–1.3475 এরিয়া। অন্যদিকে যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421-এর উপরে যেতে ব্যর্থ হয় এবং এর নিচে কনসোলিডেট করে, তাহলে ট্রেডাররা শর্ট পজিশন বিবেচনায় নিতে পারেন। তা সত্ত্বেও, সামগ্রিকভাবে আজও মার্কেটে খুবই স্বল্প মাত্রার ভোলাট্যালিটি বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী, মঙ্গলবারের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণযোগ্য:
1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র—উভয় দেশের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নেই, যার অর্থ হলো দিনের বেলায় ট্রেড করার জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।