সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা:

বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ৪.০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। আমাদের ধারণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃদ্ধি পেলে (বা তার চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পেলে), যা বিগত এক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে—মূল সুদের হার হ্রাসের বিষয়ে এখন কোনো আলোচনাই হওয়া উচিত নয়। তাই ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির এই প্রবণতা ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য একটি সহায়ক মৌলিক কারণ হতে পারে। জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

বুধবার বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট তালিকাভুক্ত থাকলেও, বাস্তবে সেগুলোর মধ্যে কোনোটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত কয়েক সপ্তাহে, আমরা ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB), ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BOE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের একাধিক প্রতিনিধির বক্তব্য শুনেছি, ফলে এই তিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান অবস্থান এখন স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে। আজ ক্রিস্টিন লাগার্ডের নতুন কোনো মন্তব্য মার্কেটে নতুন করে চিন্তার খোরাক যোগাবে বলে মনে হয় না। মনে করিয়ে দিই যে, ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল — যা আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সম্ভাবনা হ্রাস করেছে। তাছাড়া, মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ প্রতিবেদন ছাড়াও, ইসিবি প্রধান ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানোর বিষয়ে অনিচ্ছুক ছিলেন। ফলে নতুন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও নীতিগত অবস্থানের দিক থেকে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
উপসংহার:
চলতি সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারো স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটি ও ফ্ল্যাট মুভমেন্ট বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোর (EUR/USD) জন্য 1.1571–1.1584 এরিয়ায় একটি কার্যকর ট্রেডিং জোন রয়েছে, যেখান থেকে লং ও শর্ট উভয় ধরনের পজিশনের কথা ভাবা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য (GBP/USD) বর্তমানে 1.3329–1.3331 এবং 1.3413–1.3421 এরিয়ার মাঝামাঝি নির্দিষ্টভাবে অবস্থান করছে। তবে আবারও মনে করিয়ে দিই—বর্তমানে মার্কেটে ভলাটিলিটি অত্যন্ত কম এবং কার্যকর কোনো সামষ্টিক প্রেক্ষাপট কার্যত অনুপস্থিত। শুধুমাত্র আজ প্রকাশিতব্য মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে পাউন্ডের মূল্যের একটি উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে?
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- মারে লেভেলগুলো প্রবণতা এবং কারেকশনের সীমা বা রেঞ্জ নির্ধারণে সাহায্য করতে পারে।
- ভলাটিলিটি লেভেল (লাল হরাইজন্টাল লাইন) মূল্যের সাম্প্রতিক মুভমেন্টের উপর ভিত্তি করে মূল্যের সম্ভাব্য রেঞ্জ নির্ধারণ করে।
- CCI ইনডিকেটর ওভারবট (+250-এর উপরে) বা ওভারসোল্ড (-250-এর নিচে) জোনে এন্ট্রির সময় রিভার্সাল সিগন্যাল প্রদান করে।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।