ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে ওঠা শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1640 লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য ২৫ পিপসের বেশি বৃদ্ধি পায়।
সারা বিশ্বে মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার লক্ষ্যে ফেডারেল রিজার্ভ গতকাল প্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সুদের হার হ্রাসের ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে ডলারের আকর্ষণ কমে যাবে, কারণ অন্যান্য মুদ্রায় তুলনামূলকভাবে ভালো রিটার্ন প্রত্যাশিত ছিল — কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার ফলে বিনিয়োগকারীরা পূর্বাভাস কিছুটা সংশোধন করতে বাধ্য হয়। পাওয়েলের সতর্ক থাকার এবং সুদের হার কমানোর প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য বিরতির ইঙ্গিত ডলারের চাহিদাকে পুনর্বহাল করে। বিনিয়োগকারীরা এই সংকেতটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যে ফেড এখন আর আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে না—যদিও ফেড কমিটির উপর হোয়াইট হাউসের প্রশাসনিক চাপ অব্যাহত রয়েছে।
আজ ট্রেডাররা ইউরোজোনে আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ওপর দৃষ্টিপাত করছে। ইউরোপ ও জার্মানির প্রান্তিক এবং মাসিক ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর জন্য ট্রেডাররা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কারণ স্বল্পমেয়াদে এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ইউরোর মূল্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ইউরোজোনের জিডিপি প্রতিবেদন অঞ্চলটির বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রবৃদ্ধির গতিপথ সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে। যদি প্রকাশিত পরিসংখ্যানগুলোর ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক হয়, তাহলে এটি ইঙ্গিত দেবে যে ইউরোপীয় অর্থনীতি পূর্বের চেয়ে বেশি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, যা ইউরোর জন্য সহায়ক হবে।
ইউরোজোনের বেকারত্বের হারও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। বেকারত্ব হ্রাস পেলে সেই সাধারণভাবে ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং ভোক্তা ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় — এর ফলে ইউরোর আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও, জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচকও (CPI) যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মূল্যস্ফীতি এমন একটি মৌলিক বিষয়, যা জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মৌলিক নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখে। ভোক্তা মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি ভবিষ্যতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) কর্তৃক কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করার ইঙ্গিত দিতে পারে। তাই আজকের প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের সম্মিলিত প্রভাব ইউরোপীয় মুদ্রার মূল্যের ভবিষ্যৎ গতিপথকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি সূচক গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবেন, যাতে ইউরোজোন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করে বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং 2 বাস্তবায়নের ওপর জোর দেব।

বাই সিগন্যাল
- পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1673-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1640-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1673-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
- পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1620-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1640 এবং 1.1673-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
- পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1620-এর (চার্টে হালকা লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1587-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
- পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1640-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1620 এবং 1.1587-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।

চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।