বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:
GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল, যদিও যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র—কোথাও কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো তাৎপর্যপূর্ণ ইভেন্টও ছিল না। তবে, উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তার আগের দিন ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল, এবং তারও কয়েকদিন আগে যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি চিফ র্যাচেল রিভস একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন, যেটির পর সাধারণভাবে মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করে প্রতিক্রিয়া দেখায়। যদিও রিভসের বক্তব্যে বিশেষ কোনো প্রভাবশালী ঘোষণা ছিল না এবং ফেডও প্রত্যাশিত সিদ্ধান্তই নিয়েছে, তবুও পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আমরা এখনও ব্রিটিশ মুদ্রার এই ধারাবাহিক দরপতনকে যথার্থ মনে করি না, এবং গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমরা এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছি। অক্টোবরের শুরু থেকে এই পরিস্থিতি শুরু হয়েছে, এবং বিগত এক মাস ধরে আমরা লক্ষ্য করছি যে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের মধ্যে একটি বড় ধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। যদি এটি একটি নির্দিষ্ট দিনের ঘটনা হতো, তাহলে হয়তো তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা বা কাকতালীয় বলে ধরে নেওয়া যেত। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস ধরে এমনটি চলছে। দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জ গঠন বর্তমানে প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে, এবং আমরা এটিকেই পাউন্ডের দরপতনের প্রধান কারণ বলে মনে করছি।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার 1.3203-1.3211 এরিয়াতে বেশ কার্যকর একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মূল্য এই এরিয়া থেকে পরপর তিনবার বাউন্স করার পর নিম্নমুখী হয়। দুর্ভাগ্যবশত, এই পেয়ারের মূল্য সবচেয়ে নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি, তবে নতুন ট্রেডাররা এই শর্ট পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে মোটামুটি সন্তোষজনক মুনাফা অর্জন করতে পেরেছেন।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হতে শুরু করেছিল, কিন্তু তা খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। আবারও যেকোনো কারণেই হোক এখন পাউন্ড দরপতনের শিকার হচ্ছে। আমরা আগেও বলেছি, দীর্ঘমেয়াদে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোনো শক্তিশালী ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের প্রত্যাশা করছি। তবে, দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার মার্কেটে সেটির প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক একটি পরিস্থিতি।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে 1.3203-1.3211 বা 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। বর্তমানে মূল্য এই দুটি এরিয়ার মাঝামাঝি অবস্থান করছে, তাই যেকোনো দিক থেকে মূল্যের মুভমেন্ট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বর্তমানে আপনি এই লেভেলগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন: 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590, 1.3643-1.3652।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তাই সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা নিম্নপর্যায়ে নেমে আসতে পারে, এবং সারা দিন ধরে প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট নাও দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।