USD/JPY পেয়ারের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি শূন্যের অনেক উপরে অবস্থান করছিল, ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 154.02 লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নিইনি এবং এই পেয়ারের মূল্যের আরেকটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট কাজে লাগাতে পারিনি।
গতকাল জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জাপানি ইয়েনের দর ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে এসেছে, যা ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। অর্থমন্ত্রী সাতসুকি কাটায়ামা আজ বলেছেন যে, জাপান সরকার ইয়েনের বিনিময় হার গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে—যা তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর মুদ্রাটির মূল্যের ওঠানামা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম সরাসরি সতর্কবার্তা।
এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, ইয়েন দরপতন হলে সেটি আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ভোক্তাদের ব্যয় ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার সম্ভবত এই কারণে উদ্বিগ্ন যে, এর ফলে সামাজিক অসন্তোষ আরও বেড়ে যেতে পারে, বিশেষ করে দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত এবং ভবিষ্যতে সরকার ও ব্যাংকের পদক্ষেপ কতটা পর্যবেক্ষণমূলকভাবে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মাঝে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রস্তুত, তা স্পষ্ট করে দেবে। সেইসঙ্গে কারেন্সি মার্কেটে হস্তক্ষেপ করার সম্ভাবনাও তুলে ধরবে, যা মার্কেটের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রায় তীব্র পরিবর্তন আনতে পারে। তবে, পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, শক্তিশালী প্রবণতার প্রেক্ষাপটে এমন হস্তক্ষেপের কার্যকারিতা অনেক সময়ই সীমিত থাকে। মূল প্রশ্ন রয়ে যায়—বৃহৎ পরিসরে পরিবর্তন আনতে যেটি প্রয়োজন, জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সেই পরিমাণ সুযোগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা কি আসলেই আছে?
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।

বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 154.64-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 154.11-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 154.64-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 153.80-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 154.11 এবং 154.64-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 153.80-এর (চার্টে হালকা লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 153.26-এর লেভেল (গাঢ় লাল লাইন), যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 154.11-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 153.80 এবং 153.26-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।

চার্টে কী কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।