বিটকয়েনের মূল্য এক পর্যায়ে হঠাৎ কমে গিয়ে $106,300-এ নেমে এসেছিল, এবং ইথেরিয়ামের মূল্য $3,700-এর নিচে নেমে যায়। তবে আজ এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের সময় ক্রেতারা ব্যাপকভাবে ক্রয় করতে থাকলে এই দরপতন সাময়িকভাবে পুষিয়ে যায়।
টেকনিক্যাল কাঠামো এবং ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ শুরু করার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা উচিত—৩০ অক্টোবর নয়, বরং ২০০৮ সালের ৩১ অক্টোবর, সাতোশি নাকামোতো বিটকয়েন হোয়াইট পেপার প্রকাশ করেন, যা—যদিও তৎক্ষণাৎ নয়—চূড়ান্তভাবে ডিজিটাল ফাইনান্স ইন্ডাস্ট্রিকে পরিবর্তন করে দেয়। এই সাধারণ ডকুমেন্টটি এমন এক বিকেন্দ্রীকৃত ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছিল, যা ঐতিহ্যবাহী আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীন। এটাই ছিল সেই স্ফুলিঙ্গ, যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্রিপ্টো বিপ্লবের আগুন জ্বলে ওঠে।

আজ, ১৭ বছর পর, আমরা সেই বিপ্লবের ফল দেখতে পাচ্ছি: হাজার হাজার ক্রিপ্টোকারেন্সি, ডিফাই (DeFi) প্ল্যাটফর্ম, এনএফটি, এবং ক্রিপ্টোকারেন্সিভিত্তিক স্পট ইটিএফ। বিটকয়েন, যেটি এখনও পথপ্রদর্শক হিসেবে রয়েছে, মার্কেটে আধিপত্য ধরে রেখেছে এবং অন্যান্য ডিজিটাল অ্যাসেটের জন্য একটি বেঞ্চমার্ক হিসেবে কাজ করছে। অস্থিরতা ও মাঝে মাঝে বড় ধরনের দরপতনের পরেও ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি আগ্রহ কমেনি; বরং এটি পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে সাধারণ ব্যবহারকারীদেরও আরও গভীর মনোযোগ আকর্ষণ করে চলেছে।
অবশ্য বিটকয়েনের যাত্রা কখনোই নিখুঁত ছিল না। প্রাথমিক পর্যায়ে আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমালোচনা, জ্বালানি ব্যয় ও স্কেলেবিলিটি নিয়ে উদ্বেগ, সাথে প্রতারণা ও মার্কেট ম্যানিপুলেশন ঘিরে নানা কেলেঙ্কারি ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছিল। তবুও বিটকয়েন টিকে থেকেছে এবং এখনো সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা এটির কার্যকারিতা ও সম্ভাবনার প্রমাণ দিচ্ছে।
আর আজ যখন আমরা বিটকয়েন হোয়াইট পেপার বার্ষিকী উদযাপন করছি, তখন এটি মনে রাখা জরুরি যে—এটি কেবল দীর্ঘ এক যাত্রার সূচনা ছিল। ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চয়তায় ঘেরা, তবে একটি বিষয় নিশ্চিত: এগুলো আর্থিক ব্যবস্থাকে চিরতরে বদলে দিয়েছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভবিষ্যতেও এগুলোর প্রভাব বজায় থাকবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি বিটকয়েন এবং ইথেরিয়ামের মূল্যের বড় ধরনের পুলব্যাকের ওপর নির্ভর করে ট্রেড করতে থাকব, যেখানে মাঝারি মেয়াদে মার্কেটের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বলবৎ রয়েছে বলে আশা করছি।
স্বল্পমেয়াদি ট্রেডিংয়ের কৌশল ও শর্তাবলী নিচে বর্ণনা করা হলো।

বিটকয়েন
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: বিটকয়েনের মূল্য $111,300-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে $110,000-এর এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি এটি কিনব। মূল্য $111,300-এর লেভেলে কাছাকাছি পৌঁছালে আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে অবিলম্বে শর্ট পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে ক্রয় করার আগে, নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের নিচে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর পজিটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি $109,100 লেভেলের ব্রেকআউট হয়ে মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন বিয়ারিশ প্রবণতা সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেলে থেকে বিটকয়েন কেনার আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের $110,000 এবং $111,300-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: বিটকয়েনের মূল্য $108,100-এর লেভেলে দরপতনের লক্ষ্যে $109,100-এর লেভেলে পৌঁছালে আমি এটি বিক্রি করব। মূল্য $108,100-এর লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি বিটকয়েনের শর্ট পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে অবিলম্বে লং পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে বিক্রির আগে নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের উপরে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর নেগেটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি $110,000 লেভেলের ব্রেকআউট হয়ে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেলে থেকে বিটকয়েন বিক্রির আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের $109,100 এবং $108,100-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

ইথেরিয়াম
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: ইথেরিয়ামের মূল্য $3,921-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে $3,856-এর লেভেলে পৌঁছালে আমি এটি কিনব। মূল্য $3,921-এর লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি ইথেরিয়ামের লং পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে ক্রয় করার আগে, আমি নিশ্চিত করব যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের নিচে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর পজিটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি $3,809 লেভেলের ব্রেকআউট হয়ে মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে মার্কেটে কোনো বিয়ারিশ প্রবণতা সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে ইথেরিয়াম কেনার আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের $3,856 এবং $3,921-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: ইথেরিয়ামের মূল্য $3,753-এর লেভেলে দরপতনের লক্ষ্যে $3,809-এর এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি ইথেরিয়াম বিক্রি করব। মূল্য $3,753 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে অবিলম্বে লং পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে বিক্রির আগে নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের উপরে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর নেগেটিভ জোনে রয়েছে।
পরিকল্পনা #2: যদি মূল্য $3,856-এর লেভেল ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ফলে মার্কেটে কোনো বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে ইথেরিয়াম বিক্রির আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং $3,809 এবং $3,753-এর দিকে দরপতনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।