সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা:

সোমবার কোনোই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। অতএব, শুরুতেই ধরে নেওয়া যায় যে আজকের ট্রেডিংয়ে অধিক ভোলাটিলিটি বা স্পষ্ট কোনো প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাবে না। সামগ্রিকভাবে, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে অনেক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল উপেক্ষা করে চলছে। আমাদের বিশ্বাস, ট্রেডাররা এখনো সম্পূর্ণরূপে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই ট্রেড করছে। ইউরো এবং পাউন্ড—উভয় কারেন্সির মূল্য গত কয়েক মাস ধরে চলা বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে কারেকশনের মধ্যে রয়েছে। এখন হয়তো সেই বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সময় এসেছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

সোমবার, বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত আছে। আজ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস ডে গুইন্ডোস এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেন বক্তব্য প্রদান করবেন। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বলে মনে হতে পারে, তবে বর্তমানে মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে ইসিবির মুদ্রানীতি নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন বা অনিশ্চয়তা নেই। ইসিবি প্রত্যেক বৈঠকে মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখছে, কারণ এখনই সেটি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন দেখা যাচ্ছে না।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের দিক থেকে, আজ জন উইলিয়ামস, ফিলিপ জেফারসন, নীল কাশকারি এবং ক্রিস্টোফার ওয়ালার বক্তব্য দেবেন। এটি উল্লেখযোগ্য যে, গত সপ্তাহে ফেডের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য স্পষ্টভাবেই ডিসেম্বরে সুদের হার কমানোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। যত বেশি সদস্য "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান গ্রহণ করছেন, পরবর্তী বৈঠকে নতুন করে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সম্ভাবনা ততই কমে যাচ্ছে। এই বিষয়টি ডলারকে কিছুটা সহায়তা দিতে পারে, কিন্তু গত সপ্তাহে এই বিষয়টি মার্কেটের মুভমেন্টে তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি।
উপসংহার:
সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর জন্য 1.1571–1.1584 একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং এরিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সোমবার ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক দুটি ট্রেডিং এরিয়া হলো: 1.3096–1.3107 এবং 1.3203–1.3211।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।