প্রধান Quotes Calendar ফোরাম
flag

FX.co ★ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১৭ নভেম্বর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

parent
ফরেক্স বিশ্লেষণ:::2025-11-17T06:14:53

কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১৭ নভেম্বর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১৭ নভেম্বর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

শুক্রবার GBP/USD পেয়ার মূলত সাইডওয়েজ রেঞ্জেই ট্রেড করেছে। গত এক সপ্তাহে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নতুন করে কোনো ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম গঠিত হয়নি, আবার বড় কোনো দরপতনও শুরু হয়নি। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ব্রিটিশ কারেন্সিকে সহায়তা করেনি, তবে এটির মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমেও যায়নি। বৈশ্বিক মৌলিক কারণগুলো এখনও মার্কিন ডলারের জন্য স্পষ্টভাবে নেতিবাচক, তবুও ডলারের দর কমেনি। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য এখনো এই ট্রেন্ডলাইনের ওপরে অথবা 1.3203 লেভেলের ওপরে স্থিতিশীলভাবে কনসোলিডেট করতে পারেনি। বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় আছে, তবে গত কয়েক মাস ধরে একটি কারেকশন চলমান রয়েছে। স্বল্প-মেয়াদে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এর জন্য এই পেয়ারের মূল্যের 1.3107 থেকে 1.3203-এর রেঞ্জ ব্রেক করা দরকার। যতক্ষণ পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য এই চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে, ততক্ষণ কেবলমাত্র এই চ্যানেলের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো থেকে বাউন্সের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা যেতে পারে। শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, এবং এই সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতেও তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে "শাটডাউন" শেষ হয়েছে, তবে সামনে আবারও নতুন একটি শাটডাউনের ঝুঁকি রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ১৭ নভেম্বর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ


সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে; তাই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় কোনো প্রতিবেদনের ফলাফল বা খবরের প্রভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বাড়তে পারে। আগেই বলা হয়েছে, বৈশ্বিক কোনো মৌলিক কারণ এখন দীর্ঘমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না, ফলে মধ্যমেয়াদে কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি দৈনিক টাইমফ্রেমে চলমান কারেকশন/ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শেষ হয়ে থাকে, তাহলে ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হতে পারে। তবে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমেও এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে চলমান মুভমেন্ট শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে।

সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3096–1.3107 এবং 1.3203–1.3211 এরিয়ায় নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল খুঁজে পেতে পারেন।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুসারে, ট্রেডাররা বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করতে পারেন: 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3096–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590। সোমবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র—উভয় দেশেই কোনো ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বজায় থাকতে পারে এবং 1.3107–1.3203 রেঞ্জের মধ্যেই সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Analyst InstaForex
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন:
parent
loader...
all-was_read__icon
You have watched all the best publications
presently.
আমরা ইতোমধ্যে আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু সন্ধান করছি।..
all-was_read__star
Recently published:
loader...
More recent publications...