মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

মঙ্গলবার মূলত সাইডওয়েজ রেঞ্জেই GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং ভোলাটিলিটিও একেবারে সীমিত ছিল। গতকাল কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত ছিল না বা কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, এবং চার্টে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট এতটাই স্পষ্ট ছিল যে অনেক দূর থেকেও তা বোঝা যায়। বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে 1.3107 এবং 1.3203 রেঞ্জের মধ্যেই এই পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে, যার ফলে বর্তমানে পজিশন ওপেন করার একমাত্র কার্যকর কৌশল হচ্ছে এই সাইডওয়েজ চ্যানেলের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল থেকে বাউন্সের ভিত্তিতে ট্রেড করা।দুর্ভাগ্যক্রমে, মার্কেটে এখন এতটাই কম মোমেন্টাম রয়েছে যে অনেক সময় এই পেয়ারের মূল্য চ্যানেলের সীমায়ই পৌঁছায় না। এর ফলে, পুরো মার্কেট বর্তমানে কার্যত স্থবির অবস্থায় রয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা স্পষ্টভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে এবং একটি নতুন প্রবণতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কেট মেকাররা বর্তমানে নতুন পজিশন ওপেন করা নিয়ে ব্যস্ত, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভবত লং পজিশন। আমরা নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিচ্ছি, অনেক সময় ফ্ল্যাট মার্কেট হলো ঝড়ের আগের থমথমে পরিস্থিতি। ব্যাপক সম্ভাবনা সম্ভাবনা রয়েছে যে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে পূর্বের অপ্রকাশিত শ্রমবাজার ও বেকারত্ব বিষয়ক প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ হতে শুরু করবে, তখন মার্কেটে আবারও সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা যাবে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যমেয়াদে উল্লেখযোগ্য হারে ডলারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা এখনো অত্যন্ত কঠিন।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। সারা দিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য কোনো উল্লেখযোগ্য লেভেলের কাছাকাছি আসেনি, এবং সার্বিক ভোলাটিলিটির মাত্রা ছিল প্রায় ৪০ পিপস। তাই, নতুন ট্রেডারদের জন্য কোনো কার্যকর পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হয়নি।
বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুসারে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, তাই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সংবাদ বা প্রতিবেদন প্রকাশের ভিত্তিতে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য এখনও কোনো বৈশ্বিক ভিত্তি নেই, ফলে মধ্যমেয়াদে আমরা কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছি।
যদি দৈনিক টাইমফ্রেমে চলমান কারেকশন/ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শেষ হয়ে থাকে, তাহলে ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত এই পেয়ারের মূল্যের বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হতে পারে। তবে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমেও এই ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শেষ হওয়ার লক্ষণ দেখা না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3096–1.3107 এবং 1.3203–1.3211 এরিয়ার মধ্যে নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠনের প্রত্যাশা করতে পারেন, কারণ বর্তমানে এগুলোই সাইডওয়েজ চ্যানেলের বাউন্ডারি।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী, ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। বুধবার যুক্তরাজ্যে অক্টোবরের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এটি শুধুমাত্র সাময়িকভাবে ভোলাটিলিটি বাড়াতে পারে; হয়তো তারপরও ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট বজায় থাকবে। সন্ধ্যায় ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, তবে এটি মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।