সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা:

সোমবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। মূলত একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট সূচক প্রকাশিত হবে, যা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই অনুযায়ী, আজ খুব বেশি সক্রিয় বা তীব্র মুভমেন্ট না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেই কারণে, আজকের ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্তে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মনে করিয়ে দিই, বর্তমানে দৈনিক টাইমফ্রেমে ইউরোর মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জই আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
উপসংহার:

সোমবার কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত আছে। আজ ইউরোজোনে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে এবং তাঁর কয়েকজন সহকর্মী ভাষণ প্রদান করবেন। তবে লক্ষ্যণীয় যে, বর্তমানে ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নিয়ে মার্কেটে কোনো বিশেষ প্রশ্ন বা অনিশ্চয়তা নেই। ইউরোজোনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ২%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে এবং আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের পদক্ষেপের প্রায় ৯৯%-ই সমাপ্ত হয়েছে। তাই বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে ইসিবির প্রেসিডেন্টের বক্তব্য খুব বেশি তাৎপর্য বহন করছে না।
উপসংহার:
সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব কম থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ধরণের মুভমেন্ট লক্ষ্য করা যেতে পারে। ইউরোর জন্য 1.1527-1.1531 লেভেলে একটি কার্যকর ট্রেডিং এরিয়া রয়েছে। অপরদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য ট্রেডিং এরিয়া রয়েছে 1.3096-1.3107 লেভেল, যেখানে একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জও বিদ্যমান। বর্তমানে মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা খুবই কম রয়েছে, তা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের গুরুত্ব কিংবা পরিমাণ যাই হোক না কেন—এই বিষয়টি মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।