সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা:

শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এসব প্রতিবেদন জার্মানি থেকে প্রকাশিত হবে। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, জার্মানি ইউরোপীয় অর্থনীতির "ইঞ্জিন" হিসেবে পরিচিত — এমন এক "ইঞ্জিন" যেটি বিগত কয়েক বছরে থেমে গিয়েছিল। তাই জার্মানির যেকোনো মূল অর্থনৈতিক প্রতিবেদন শর্তসাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আজ দেশটিতে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো একসাথে প্রকাশিত হবে না, বরং দিনটির প্রথমার্ধজুড়ে ধাপে ধাপে প্রকাশিত হবে — যার ফলে মার্কেটে দিনের প্রথমার্ধে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

শুক্রবার কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। সম্প্রতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের বক্তব্যগুলোর মধ্যেও ট্রেডারদের উপর প্রভাব বিস্তার করার মতো তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ইসিবি ইতোমধ্যেই মুদ্রাস্ফীতিকে ২%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল করতে সফল হয়েছে, তাই বর্তমানে মুদ্রানীতি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নেই। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ বছর চতুর্থবারের মত মূল সুদের হার হ্রাস করতে পারে, তবে মুদ্রাস্ফীতি এখনও উচ্চ পর্যায়ে থাকায়, শিগগিরই আরও দ্রুত সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। অপরদিকে ফেডের পদক্ষেপ এখনো অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসের শ্রমবাজার, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ওপর নির্ভর করছে, যেগুলো এখনো প্রকাশিত হয়নি।
উপসংহার:
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকতে পারে, কারণ উভয় পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। ইউরোর জন্য 1.1571-1.1584 এরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং এরিয়া হিসেবে অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া উচিত, যেখানে গত দুই দিনে একাধিক বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য 1.3259 একটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল এবং 1.3203-1.3211 একটি কার্যকর ট্রেডিং এরিয়া। শুক্রবার মার্কেটে আবারও সীমিত মাত্রার অস্থিরতা বজায় থাকতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।