মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এর জন্য কোনো বিশেষ সংবাদ বা প্রতিবেদনের প্রয়োজন হয়নি। কেউ কেউ ধরে নিতে পারেন যে জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য মার্কিন ডলারের দরপতনে ভূমিকা রেখেছে, তবে বুধবার সকালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি যা এই ধারণাকে নিশ্চিত করে। কিছু বিশ্লেষকের প্রত্যাশার বিপরীতে, জেরোম পাওয়েল পদত্যাগ করেননি এবং মনে হচ্ছে তিনি ফেডারেল রিজার্ভের সদর দপ্তরের সংস্কার ব্যয়ের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার দলীয় সহকর্মীদের অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজের সম্মান ও অবস্থান রক্ষায় প্রস্তুত। ফলে, ফেডের মূল সুদের হার বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নিকট ভবিষ্যতেও তা পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। যদিও সুদের হার সরাসরি মার্কিন ডলারের জন্য তেমন বড় প্রভাব ফেলে না, তবে ফেডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করলে তার প্রভাব উল্লেখযোগ্য হতে পারে। যদি জেরোম পাওয়েল পদচ্যুত হন, তাহলে আরও দ্রুতগতিতে ডলারের দরপতন ঘটতে পারে। যাই হোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে, কারণ পূর্ববর্তী টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল, এবং এটি ইউরোর সিগনালের তুলনায় প্রায় নিখুঁত ছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.3466 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে এবং সন্ধ্যার মধ্যে নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায়—1.3518–1.3532 এরিয়ায় পৌঁছে যায়। ফলে, নতুন ট্রেডারদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বাই পজিশন ওপেন করার একটি আদর্শ সুযোগ তৈরি হয়েছিল, যার মাধ্যমে কমপক্ষে 45 পিপস মুনাফা অর্জিত হয়েছে।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন একটি স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ওপরে কনসোলিডেশন সম্পন্ন করায় আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করা যেতে পারে। মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনও মার্কিন ডলারের বিপক্ষে কাজ করছে, এবং মার্কেটে এখনো অনেক নেতিবাচক মৌলিক উপাদান পুরোপুরিভাবে প্রতিফলিত হয়নি।
বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, যদিও আজ কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক বা অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। আমাদের মতে, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3518–1.3532 এরিয়া ব্রেক করে, তাহলে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3574 লেভেল।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3525, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন কেন্দ্র করে মার্কেটে বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে, সারাদিন জুড়ে মার্কেটে স্বল্প মাত্রা অস্থিরতা ও রেঞ্জ-বাউন্ড মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।