শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও একেবারেই কোনো আকর্ষণীয় মুভমেন্ট দেখা যায়নি। সারা দিন এই পেয়ারের মূল্য দুটি এরিয়ার মধ্যে আটকে ছিল: 1.3529–1.3543 এবং 1.3574–1.3590। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও এই মুহূর্তে কোনো স্থানীয় অ্যাসেন্ডীং ট্রেন্ডলাইন আঁকা সম্ভব নয়, এবং মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট গঠনে তাড়াহুড়ো দেখা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেলের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে, এবং মার্কিন ডলারের দরপতনের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তবুও, সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে আমরা স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি লক্ষ্য করেছি, যা স্থিতিশীল প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট না হওয়ার প্রধান কারণ। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আকর্ষণ করেনি। জুলাই মাসের দেশটির জিডিপি অপরিবর্তিত ছিল, আর শিল্প উৎপাদন 0.9% হ্রাস পায়। এই প্রতিবেদনের ফলাফল ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটাতে পারত, তবে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। মার্কিন কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারের দরপতন ঘটাতে পারত, এবং তা ঘটিয়েও ছিল—প্রায় 20 পিপস দরপতন হয়েছে। সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট দেখা গেছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার 1.3529–1.3543 এরিয়াতেই চারটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য 15–25 পিপস ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। তাই এই ট্রেডগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য মুনাফা করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। কেবলমাত্র প্রথম ক্ষেত্রে মূল্য 30 পিপস দূরে অবস্থিত নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.3574 লেভেলে পৌঁছাতে পেরেছিল। ফ্ল্যাট রেঞ্জ মানেই ফ্ল্যাট মুভমেন্ট।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে, এবং হায়ার টাইমফ্রেমেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। আগের মতোই, আমরা মাঝারি মেয়াদে মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কোনো ভিত্তি দেখছি না, তাই ব্রিটিশ মুদ্রার আরও মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যাশা করছি।
সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হতে পারে। তবে আপাতত এই পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543 এবং 1.3574–1.3590 এরিয়ার মধ্যে চাপে রয়েছে, এবং মার্কেটে ভোলাটিলিটিও বেশ কম। সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, তাই ভোলাটিলিটি আবারও খুব দুর্বল থাকতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য এখন নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। সোমবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো আকর্ষণীয় ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো তেমন কিছুই থাকবে না, এবং এই পেয়ারের মূল্যের আবারও হতাশাজনক মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টের মূল উপাদান:
সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।